
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নাম না করে শাসানি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। ভাঙড়ে কোনও তৃণমূল কর্মীর দিকে আঙুল তুললে, সেই আঙুল মুছড়ে ভেঙে দেওয়ার হুমকি শওকতের। ভাঙড়ের তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা থেকে আইএসএফ-কে নাম না করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শওকত বলেন, “যদি বুকের পাটা থাকে, আমার কথা ছেড়ে দিন, ভাঙড়ে যদি একজন মা, বোন-দিদির দিকে, এক জন ভাইয়ের দিকে, কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর গায়ে হাত পড়ে, আঙুল যদি তোলা হয়, আঙুল মুছড়ে ভেঙে দেব।” নাম না করে তিনি বলেন, “অনেক নোংরামি করেছেন একুশের ভোটে। অনেক খারাপ করেছেন। আর করতে দেব না।” তবে এই নিয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর ভাই কাশেম সিদ্দিকী তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় জল্পনা, তৃণমূল কি তাঁকেই আগামী বিধানসভা ভোটে নওশাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে? ভাঙড়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন টান টান উত্তেজনা। কারণ এহেন জল্পনার পরই বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে শওকত মোল্লা আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘নওশাদ নিজের ভাইকেও ধরে রাখতে পারছে না, আর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়ার কথা বলছে! ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াবে বলে ঘোষণা করে শেষে পালিয়ে গেছিল।’’ তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, ২০২৬ সালের ভোটে ভাঙড় থেকে তাঁকেই হারাবেন। আর না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
বিধানসভার নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে শওকত-নওশাদ-যুযুধান প্রতিপক্ষের লড়াইয়ে ভাঙড়ের মাটিতে নতুন করে অশান্তির মেঘ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। কেউ কাউকে এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ। গত বিধানসভা ভোটে ভাঙড় থেকে জয়ী হয়েছিলেন আইএসএফ প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি। লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য ভাঙড় থেকেই লিড নেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। ভাঙড়ের জমি পুনরুদ্ধারে শাসকদল আপাতত ভরসা রেখেছে শওকতের ওপরেই। এবার দেখার আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ফল কী দাঁড়ায়?