বারুইপুর : ভাঙড় আর বারুইপুর, পরপর দুটি গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে সরগরম রাজ্য। বারুইপুরে (Baruipur) মধ্যরাতে গুলিতে মৃত্যু (Shot Dead) হয়েছে দুই যুবকের- সাজ্জাদ মণ্ডল ও শারফউদ্দিনের লস্করের। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থলে সাজ্জাদের মৃত্যু হলেও, বেঁচে ছিলেন শারফউদ্দিন। তাঁরে উদ্ধার করে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে গুলি করলেন তাঁকে? মৃত্যুর আগে সেই নাম শোনা যায় শারফউদ্দিনের মুখে। তখনও তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। সেই অবস্থায় পরিবারের লোকের কাছে বারবার শারফউদ্দিন বলেন, ‘বলাই মেরেছে।’
কে এই বলাই? সম্পর্কে সাজ্জাদের ভাইপো আব্দুল হামিদেরি ডাক নাম বলাই। তিনি একটি মুদি দোকান চালান। হামিদ সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত বলেও জানা যায়। তাঁর বিরুদ্ধেই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, কাকা সাজ্জাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালই ছিল। তাহলে কী এমন হল যে মধ্যরাতে গুলি চালাতে হল হামিদকে? তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
এই ঘটনায় হামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শারফউদ্দিনের পরিবার। তাঁদের দাবি, হামিদের বিরুদ্ধে আগেও এলাকায় অনেক অভিযোগ উঠেছে, তা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আব্দুল হামিদকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও তাঁর ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
শারফউদ্দিনের স্ত্রী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন শারফউদ্দিন। সাজ্জাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন। স্ত্রীর দাবি গরুর ব্যবসা ছিল তাঁদের। গরু কেনার জন্য ওই টাকা ঋণ নিয়েছিলেন শারফউদ্দিন। বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাওয়ায় সেই টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। টাকা নিয়েই বচসা হয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অনেকগুলি দিক তাদের সামনে এলেও কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বুধবার সকালে ঘটনার জেরে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কপরে দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হামিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।