Sheikh Shajahan: সব বাড়িতে তালা, কেউ কোথাও নেই, এবার শেখ শাহজাহানের হলুদ রঙা বাড়ির পিছন থেকে ঢোকেন ED অফিসার, দেখেই গেট খুলে বেরোলেন…
Sheikh Shajahan: ইডি আধিকারিকরা গেলেন, গেটে নাড়ালেন, তারস্বরে ডাকলেন বাড়িতে 'কেউ আছেন?' নীল রঙা গ্লাস ডোরের বাড়ির ভিতর থেকে এল না কোনও শব্দ। মিনিট তিনেকের পর পাশের বাড়িতে যান। সেটা হলুদ রঙা। ইডি আধিকারিকরা সেই বাড়ির দরজায় বেল বাজালেন।
সন্দেশখালি: একেবারে রণসজ্জায় ইডি। অগণিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ফোর্স। গ্রামে কড়া নিরাপত্তা। প্রথমবার তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বেনজির অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এবার পুনরাবৃত্তি এড়াতে একেবারে অ্যাকশন মুডে ইডি। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ শেখ শাহজাহানের পরপর চারটি বাড়ি। হলদু রঙা বাড়িটি শাহজাহানের। আশপাশের আরও দুটো বাড়ি ভাই আলমগির ও শেখ সিরাজউদ্দিনের। আর পাশের বাড়িটিতে থাকেন তাঁর মা! বুধবার সকালে ইডি আধিকারিকরা গ্রামে পরপর চারটি বাড়িতে যান। সেদিনের সন্দেশখালিতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছেন শাহজাহান। কিন্তু অদ্ভুতভাবে গ্রামের বাড়িতে থেকে গিয়েছেন তাঁর দুই ভাই শেখ সিরাজউদ্দিন, শেখ আলমগির। এদিন অবশ্য তাঁদের বাড়ি দুটিতেও তালা ঝোলানো।
ইডি আধিকারিকরা গেলেন, গেটে নাড়ালেন, তারস্বরে ডাকলেন বাড়িতে ‘কেউ আছেন?’ নীল রঙা গ্লাস ডোরের বাড়ির ভিতর থেকে এল না কোনও শব্দ। মিনিট তিনেকের পর পাশের বাড়িতে যান। সেটা হলুদ রঙা। ইডি আধিকারিকরা সেই বাড়ির দরজায় বেল বাজালেন। চিৎকার করলেন ‘কেউ আছেন?’ এখানেও ইতিবাচক কোনও সাড়া মেলেনি। এরপর কয়েক পা দূরে আরও একটি বাড়ি।
ইডি আধিকারিকরা পাশের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সোজা রাস্তাই ধরেছিলেন। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা। সাংবাদিকদের ভিড়। একেবারের সামনে নেতৃত্বে মাঝ বয়সী এক ইডি আধিকারিক। হঠাৎই রাস্তা বদলে ফেললেন তিনি। তবে কি পাশের বাড়ি যাচ্ছেন না? কিছুটা টার্ন নিলেন। পাশের বাড়ির পিছনের রাস্তা ধরলেন তিনি। সেই রাস্তাও গিয়ে মিশছে হলুদ রঙা বাড়ির একেবারের পিছনের লোহার দরজায়।
সেখানে গিয়ে দরজা নাড়ান ইডি আধিকারিক। প্রথমে ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ নেই। এরপর দরজা খুললেন এক মহিলা। মাথায় ঘোমটা টাঙা। এই প্রথম শাহজাহানের কোনও বাড়ির দরজা খুলল। মহিলাকে ইডি আধিকারিক প্রশ্ন করলেন, “আপনি চেনেন শেখ শাহজাহানকে?” উত্তর এল ইতিবাচক। ওই মহিলা বললেন, “হ্যাঁ চিনি, আমার ভাসুর হয়।” ফের প্রশ্ন কোথায় তিনি? বললেন, “না বলতে পারব না।” শাহজাহানের খোঁজে বিয়ে বাড়ির দরজা থেকে চারটে বাড়ি দরজা ঘুরলেন ইডি আধিকারিকরা। না, এখনও তাঁর টিকি মেলেনি। এমনকি, শাহজাহানের বাড়ি থেকে আধিকারিকরা তেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও এখনও পর্যন্ত পাননি। আলমারিতে কয়েকটি জামা, আর খালি ব্রিফকেস। ইডি আধিকারিকদের হাতে আপাতত পেনসিল।