Jahangir Khan: অভিষেক ‘ঘনিষ্ঠ’ জাহাঙ্গিরের বিশেষ নিরাপত্তা প্রত্যাহার নবান্নের

South 24 Parganas: ইতিমধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ লাইনে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 07, 2022 | 9:23 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফলতার (Falta) দাপুটে তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের (Jahangir Khan) বিশেষ নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন। সোমবারই এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। জাহাঙ্গির খান ফলতা ব্লকের যুব তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি ও বজবজ বিধানসভার পর্যবেক্ষক। একইসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। এতদিন ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন জাহাঙ্গির। ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা মানে দু’জন কমান্ডো এবং আটজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সবসময় থাকবে। কিন্তু সোমবার থেকে সে নিরাপত্তা উঠে গেল জাহাঙ্গির খানের। যদিও এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গিরের বক্তব্য, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তা তিনি মেনে নেবেন। সাংসদের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন তিনি। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ লাইনে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম জাহাঙ্গির খান। অনেকেই বলেন, তিনি নাকি স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কাছের। পুলিশ সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকারি নিরাপত্তা পেয়েছিলেন জাহাঙ্গির। ২০১৪ সালে প্রথমবার যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হন, তার পর থেকেই আলোয় উঠে আসে জাহাঙ্গিরের নাম। ধীরে ধীরে যথেষ্ট নাম পরিচিতি তৈরি করেন এলাকায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় ৩০ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্ক শেষ করে গত বিধানসভা ভোটের আগে ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দলের যে সমস্ত নেতার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ ছিল, সেই তালিকায় জাহাঙ্গিরের নামও ছিল বলেই জানা যায়। এমনকী গত ফেব্রুয়ারিতে ভোট প্রচারে কুলতলিতে গিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তোলাবাজ ভাইপোর নেতৃত্বে অত্যাচার হচ্ছে। ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম, ফলতার জাহাঙ্গির খানের মতো ছোট ছোট তোলাবাজকে পুলিশ স্যালুট করে। অনেক যন্ত্রণা নিয়ে দল ছাড়তে হয়েছে দিলীপ হালদারদের মতো পুরনো কর্মীদের।’

একুশের ভোটের পর থেকে ফলতা, বিড়লাপুর, বজবজ এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বেড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের উপরও শাসক শিবিরের নানা চাপ রয়েছে বলে বার বার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। জাহাঙ্গির খানের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষনেতৃত্বের কাছেও নাকি বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও সূত্রের খবর। সেই সব খতিয়ে দেখেই এই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলে খবর। সোমবার জাহাঙ্গির খান জানান, “দলের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। সাংসদের নির্দেশ মেনেই চলব।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফলতার (Falta) দাপুটে তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের (Jahangir Khan) বিশেষ নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন। সোমবারই এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। জাহাঙ্গির খান ফলতা ব্লকের যুব তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি ও বজবজ বিধানসভার পর্যবেক্ষক। একইসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। এতদিন ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন জাহাঙ্গির। ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা মানে দু’জন কমান্ডো এবং আটজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সবসময় থাকবে। কিন্তু সোমবার থেকে সে নিরাপত্তা উঠে গেল জাহাঙ্গির খানের। যদিও এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গিরের বক্তব্য, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তা তিনি মেনে নেবেন। সাংসদের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন তিনি। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ লাইনে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম জাহাঙ্গির খান। অনেকেই বলেন, তিনি নাকি স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কাছের। পুলিশ সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকারি নিরাপত্তা পেয়েছিলেন জাহাঙ্গির। ২০১৪ সালে প্রথমবার যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হন, তার পর থেকেই আলোয় উঠে আসে জাহাঙ্গিরের নাম। ধীরে ধীরে যথেষ্ট নাম পরিচিতি তৈরি করেন এলাকায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় ৩০ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্ক শেষ করে গত বিধানসভা ভোটের আগে ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দলের যে সমস্ত নেতার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ ছিল, সেই তালিকায় জাহাঙ্গিরের নামও ছিল বলেই জানা যায়। এমনকী গত ফেব্রুয়ারিতে ভোট প্রচারে কুলতলিতে গিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তোলাবাজ ভাইপোর নেতৃত্বে অত্যাচার হচ্ছে। ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম, ফলতার জাহাঙ্গির খানের মতো ছোট ছোট তোলাবাজকে পুলিশ স্যালুট করে। অনেক যন্ত্রণা নিয়ে দল ছাড়তে হয়েছে দিলীপ হালদারদের মতো পুরনো কর্মীদের।’

একুশের ভোটের পর থেকে ফলতা, বিড়লাপুর, বজবজ এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বেড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের উপরও শাসক শিবিরের নানা চাপ রয়েছে বলে বার বার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। জাহাঙ্গির খানের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষনেতৃত্বের কাছেও নাকি বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও সূত্রের খবর। সেই সব খতিয়ে দেখেই এই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলে খবর। সোমবার জাহাঙ্গির খান জানান, “দলের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। সাংসদের নির্দেশ মেনেই চলব।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা