দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বুধবার ভোর রাতে বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপ থেকে গভীরে দুটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ আছেন বলে মৎস্যজীবী ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ডুবে যাওয়া এফবি সত্যনারায়ণ ট্রলারের মৎস্যজীবী কালিপদ দাস দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরের বাসিন্দা। কালিপদর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজনেরা।
বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও ছোট দুই ছেলে মেয়েকে নিয়েছিল কালিপদর সংসার। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন কালিপদ। আচমকা ট্রলার দুর্ঘটনায় গভীর সমুদ্রে তাঁর তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় অথৈ জলে গোটা পরিবার। উল্লেখ্য, সত্যনারায়ণ ট্রলারে ২০ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ১৯ জন উদ্ধার হলেও কালিপদর কোন খোঁজ মেলেনি।
প্রথমে ডুবন্ত ট্রলারের মৎস্যজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে যোগাযোগ সম্ভব হয়। ডুবন্ত ট্রলারটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বেশ কয়েকটি ট্রলার। উল্লেখ্য বুধবার ভোর রাতে কেঁদো দ্বীপ থেকে ৫ কিমি গভীরে দুটি ট্রলার এফবি সত্যনারায়ণ ও এফবি শ্রীকৃষ্ণর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এরপর সত্যনারায়ণ ট্রলারের পাটাতন ফেটে জল ঢুকতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ডুবে যায় ট্রলারটি। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে নামখানা ঘাটে। রবিবার বিকেলে জম্মুদ্বীপের থেকে আরও পনেরো কিমি গভীরে উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে যায় এফবি মহামায়া।জানা গিয়েছে, ঢেউয়ের দাপটে ট্রলারের পাটাতন ফেটে যায়। ফলে দ্রুত জল ঢুকতে থাকে ট্রলারে। ডুবন্ত ট্রলার থেকে বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করেন বারো জন মৎস্যজীবী। পাশে থাকা অন্য ট্রলার এসে সেই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর আগে চলতি মাসের ১৮ তারিখ ইলিশ ধরার জন্য মাঝ সমু্দ্রে রওনা দিয়েছিল এফবি স্বর্ণময়ী নামে আরও একটি ট্রলার।