Fraud Case: তৃণমূল নেতাকে শ্লীলতাহানি! অভিযোগ হতেই গ্রেফতার মহিলা

Shuvendu Halder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 15, 2023 | 12:03 PM

Fraud Case: বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশ নুপুরকে গ্রেফতার করে। মারধর, হামলা ও শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ধৃতকে শুক্রবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।

Fraud Case: তৃণমূল নেতাকে শ্লীলতাহানি! অভিযোগ হতেই গ্রেফতার মহিলা
গ্রেফতার প্রতারিত মহিলাই
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আবার তাঁকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন প্রতারিত মহিলাই।  চাকরি ও সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কথা মতো তৃণমূল নেতাকে টাকাও দিয়েছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ, তারপর চাকরিও মেলেনি, টাকাও ফেরত পাননি। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন ওই মহিলা। শুধু ওই মহিলাই নন, গ্রামের আরও মানুষের সঙ্গে একইভাবে প্রতারণার অভিযোগ ছিল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রতারিতদের কাছে গ্রামে আক্রান্ত হন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। কিন্তু সেই নেতার স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে উল্টে গ্রেফতার হলেন প্রতারিত মহিলা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রতারিত মহিলা।

বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। মারধর, হামলা ও শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ধৃতকে শুক্রবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের পরাজিত প্রার্থী এলাকার বহু মানুষের থেকে চাকরি ও সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ। গত বুধবার বিকালে প্রকাশ্যে ওই তৃণমূল নেতাকে টানাহ্যাঁচড়া করেন ও চড় মারেন বলে অভিযোগ। বাঁচাতে এলে আক্রান্ত হন নেতার স্ত্রীও।

সেই ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ফ্রেজারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন প্রতারিত মহিলা। তাঁর বক্তব্য, ” আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। এখন টাকা আর ফেরত দিচ্ছেন না। শুধু বলছে, আজ চাকরি দেব, কাল চাকরি দেব। আমাকে অপমান করছে টাকা চাইলে।”

যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “বিষয়টা অন্য। আমি ২০২০ সালে ওই মহিলার স্বামীর কাছ থেকে একটা গাড়ি কিনেছিলাম।সেই গাড়ির কোনও কাগজপত্র ছিল না। তাই নিয়ে একটা ঝামেলা চলছিল।  তা নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। কাকদ্বীপ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। কালকে মাছ কিনতে গিয়েছিলাম, তখন বলছে টাকা দাও। তখনই এসব করে।” বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Next Article