বাইরুপুর: আহত হওয়ার খবর মেলার পরেই বাড়ছিল উদ্বেগ। অবশেষে আশঙ্কা সত্যি করে এল মৃত্যুর খবর। অমরনাথ বিপর্যয়ের (Amarnath Cloudburst) জেরে প্রাণ হারালেন বারুইপুরের ছাত্রী বর্ষা মুহুরী। চলতি মাসের ১ তারিখে বারুইপুর(Baruipur) পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্দন মুহুরীর স্ত্রী নিবেদিতা মুহুরী,মেয়ে বর্ষা ও শ্যালক সুব্রত চৌধুরী সঙ্গে রওনা দিয়েছিল অমরনাথের উদ্দেশ্যে। সঙ্গে ছিল পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিশালক্ষী তলা এলাকার বাসিন্দা উজ্জল মিত্র ও তার স্ত্রী ও মেয়েl দলে ছিলেন মোট ৭ জন। ৫ তারিখ তাঁরা জম্মু হয়ে পহেলগাঁওয়ে পৌঁছন। ৭ তারিখ শুরু করেন অমরনাথ যাত্রা। কিন্তু, শুরু থেকেই প্রতিকূল আবহাওয়া সঙ্গী হয়েছিল তাঁদের।
এদিকে যে সময় হড়পা বান আসে তখন মাকে বাঁচাতে গিয়ে স্রোতে পড়ে যান বর্ষা। তারপর থেকে খোঁজ মেলেনি তাঁর। অবশেষে মিলল মৃত্যুর খবর। এদিকে হার্টের সমস্যার ভুগছেন বর্ষার বাবা। তাঁকে এখনও জানানো হয়নি মেয়ের মৃত্যুর খবর। অন্যদিকে আহত হয়েছেন বর্ষার মা-মামাও। তাঁরাও জানানে না বর্ষার মৃত্যুর খবর। এদিকে ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দেহ তড়িঘড়ি আনার চেষ্টা চলছে। ফেরানোর চেষ্টা চলছে মা-মামাকেও।
এদিকে শনিবার বারুইপুরে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবর্তী পাড়ায় দুর্ঘটনার খবর আসার পরেই রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পাড়া-প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয় পুরপিতা বিকাশ দত্ত। খবর পেয়ে বারুইপুর থানা থেকে চক্রবর্তী পাড়ায় যান পুলিশ কর্মীরাl জানা গিয়েছে আগামী ১৬ তারিখ ওই ৭ জনের দলটির ফিরে আসার কথা ছিল বারুইপুরেl কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। ঘরের মেয়েকে হারিয়ে বিষণ্ণতা গ্রাস করেছে গোটা পাড়াকে।