Sujan Chakraborty on Subrata Mukherjee: সুব্রতদা রাজনীতির এক বর্ণময় চরিত্র,মিশুখে রস বোধ সম্পন্ন নেতা!

Subrata mukherjee: স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, " ক্রমেই রাজনীতি থেকে পুরোনো ঘরানার মানুষগুলে চলে যাচ্ছেন।"

Sujan Chakraborty on Subrata Mukherjee: সুব্রতদা রাজনীতির এক বর্ণময় চরিত্র,মিশুখে রস বোধ সম্পন্ন নেতা!
শোকস্তব্ধ সুজন চক্রবর্তী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2021 | 11:46 AM

সোনারপুর: না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। দীপাবলির রাতে প্রদীপ নিভিয়ে চলে গিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে এসেছে একের পর এক শোকবার্তা। বিরোধী থেকে শাসকদল। কেউ যেন মেনে নিতে পারছেন না ‘শান্ত মানুষটির’ চলে যাওয়া। শোক প্রকাশ করেছেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ” এতদিন সুব্রত মুখার্জি হাসপাতালে ছিলেন। সবাই মনে করছিল তিনি এইবার সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর মৃত্যু সংবাদ নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা সেই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। আমি তাঁর পরিবার এবং অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সুব্রতদার প্রতি শদ্ধা জানাচ্ছি। ” প্রবীণ এই রাজনীতিবীদ আরও জানান, “সুব্রতদা বাংলার রাজনীতিতে একটি বর্ণময় চরিত্র। মিশুখে রসদ সম্পন্ন একজন বিশিষ্ট নেতা। পুরোনো রাজনীতির ঘরনার মানুষ। রাজনীতিতে ক্রমশ এই ঘরানা কমছে। অনেক পুরোনো মানুষ চলে যাচ্ছেন। যার কারণে পুরোনো বোধ, চিন্তা, চেতনাগুলি ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। এটা অসুবিধে জনক। আমি স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ”

প্রসঙ্গত, হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল আজ, শুক্রবার। কিন্তু তার আগেরদিনই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কালীপুজোর রাতে গোটা রাজ্যে নেমে আসে অন্ধকার। প্রয়াত হন রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ৭৫ বছরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান।

মন্ত্রীর প্রয়াণে এসেছে একের পর এক শোকবার্তা। স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে অধীর চৌধুরি বলেন, ” “আমি ভাবতেই পারছি না। ১ তারিখ গিয়েও হাসপাতালে দেখা করে এলাম। বেশ খোস মেজাজেই ছিলেন। অনেক গল্প করলেন আমার সঙ্গে। কিন্তু এমনটা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। কী খারাপ লাগছে। প্রিয়দা, সৌমেনদা, সুব্রতদা একে একে প্রত্যেকে চলে গেলেন। একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে গেল বাঙলায়। বাঙলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি। ” কংগ্রেস দলনেতা আরও বলেন,”ওঁনার যোগ্যতা, বিচক্ষণতা এবং শত প্রতিকূলতার মধ্যেও হাসিখুশি থাকার এই গুণাবলীর কোনও তুলনা হয় না। এবং প্রত্যেককে হাসি-খুশি রাখার যে গুণাবলী তার কোনও তুলনা হয় না। সুব্রতদা থাকা মানেই সেখানে আনন্দ হবে, হাসির রোল উঠবে, গল্প হবে মজা হবে, সিরিয়াস কথাও হবে। এক বিচক্ষণ রাজনীতিবীদ ছিলেন তিনি । বাংলার কংগ্রেস রাজনীতির ত্রিমূর্তি ― প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এক এক করে চলে গেল।” দুঃখ প্রকাশ করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ” ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো।”