ভাঙড়: পুলিশি অনুমতি ছাড়াই হাতিশালায় হবে তৃণমূলের (Trinamool Congress) শান্তি মিছিল। মঙ্গলবার দৃপ্ত কন্ঠে জানিয়েছিলেন ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। তবে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সুর নরম। সাফ জানিয়ে দিলেন প্রাশাসন অনুমতি না দেওয়ায় বুধবার শান্তি মিছিল করছে না তৃণমূল।
এ দিন আরাবুল ইসলাম বলেন, “আজকে অনুষ্ঠান হচ্ছে না। যেহেতু প্রশাসন অনুমতি দেয়নি সেই কারণে কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আমরা জোর করে কোনও কর্মসূচি করতে চাইনি। বরাবরই চেয়েছি রাজ্যে শান্তি বজায় থাকুক। পরবর্তীতে দলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, শনিবার অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে এই হাতিশালাতেই ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ তোলে আইএসএফ। অন্যদিকে আইএএসফের বিরুদ্ধে তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ তোলে ঘাসফুল শিবির। এরমধ্যে ভাঙড়কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার হাতিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভার কথা ঘোষণা করেছিল ভাঙড় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত হাতিশালা এলাকায় কোনও জমায়েত করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
কিন্তু, তারমধ্যেই আরাবুল ঘোষণা করেন অনুমতি পাই আর না পাই, মিছিল হবেই। বুধবার আরাবুল বলেন, “আমাদের দল আমাদের অনুমতি দিয়েছে। মিছিল হবেই। তিনটি পার্টি অফিস জ্বালানো হয়েছে। কয়েকজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা ভাঙড়ে সর্বদা শান্তি চাই। সে কারণেই আমরা শান্তি মিছিল করব। কারণ আমরা জানি ভাঙড়ের অনেক মানুষ ভুল বুঝছে। কী কারণে এত বড় ঘটনা ঘটল, কারা ঘটালো এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। তাই আমরা মানুষকে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য এখানে শান্তি মিছিল করতে চাই। আমরা সর্বদা মানুষের পাশে আছি এটা তাঁদের বোঝাতে চাই।”
তবে, এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মিছিল হচ্ছে না বলে সাফ জানালেন ‘দাপুটে তৃণমূল নেতা’। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এদিন পুলিশের অনুমতি ছাড়াই মিছিল হলে অস্বস্তিতে পড়তে হত শাসকদলকে। সেই বিষয়টিকেই এড়াতে এহেন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।