বাসন্তী: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর তরজা অব্যাহত বাসন্তীতে। মাদার তৃণমূল বনাম যুব তৃণমূলের কাজিয়া চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। মঙ্গলবারও(গতকাল) সেই ঝামেলা চলল। মারধরের জেরে গুরুতর জখম এক তৃণমূল কর্মী।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে বাসন্তী থানার আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢুঁড়ি এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন মোরসেলিম শেখ নামে এক যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। বর্তমানে ওই যুব কর্মী ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার বাসন্তী বিধানসভার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের ডাকে জনসভা হয়। মিঠুন চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদারদের পাল্টা সভা হিসাবে তৃণমূলের এই সভা বলে মনে করা হয়। জনসভার মুখ্য বক্তা ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রবিবার মন্ত্রী যখন বাসন্তীর সভাস্থলে যাচ্ছিলেন,সেই সময় বেশকিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক মন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান কলতলা এলাকায়। অভিযোগ, তাঁদেরকে বাদ দিয়েই ওই জনসভার আয়োজন করেছেন এলাকার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের অনুগামীরা। যদিও সে কথা অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।
অন্যদিকে রবিবার জনসভায় উপস্থিত না হওয়ার জন্য এবং মাদার দল করার জন্য এলাকায় যুব তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার বাসন্তীর ভাঙনখালির কলতলা এলাকায় মাদার গোষ্ঠীর লোকজনের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন জয়উদ্দিন মোল্লা নামে এক যুব তৃণমূল কর্মী। যদিও কলতলার ঘটনাকে পারিবারিক ঘটনা বলে জানিয়েছেন শ্যামলবাবু।
কিন্তু কোন্দলের আগুন যে তখনও ধিকিধিকি জ্বলছিল তা বোঝা গেল মঙ্গলবার রাতে। ঢুঁড়ি বাজার এলাকায় চা খেতে গিয়েছিলেন মোরসেলিম শেখ নামে এক যুব তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মাদার দলের জনা কুড়ি সমর্থক মোরসেলিম কে লাঠি,লোহার রড,কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই যুব কর্মী। পরে স্থানীয় বাসিন্দার তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আক্রান্ত মোরসেলিমের বক্তব্য, ঢুঁড়ি এলাকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী এবং সমাজবিরোধী রয়েছে। যারা বিগত দিনে আরএসপি,সিপিএমের ছত্রছায়ায় ছিল। বর্তমানে মাদার তৃণমূলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। তাদের ইচ্ছামতো দল করতে হবে। তাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য না দেওয়ায় এমন অত্যাচার চালাচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।