জয়নগর: জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনার পর সোমবার দলুয়াখাকি গ্রামে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। যে বুথে অগ্নিসংযোগ হয়েছিল, তার পাশের একটি বুথে আজ গিয়েছিলেন বিধায়কমশাই। বারুইপুর পূর্বের বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলে ব্লক ও স্থানীয় স্তরের নেতারা। মৃত সইফুদ্দিন লস্করের স্মৃতিতে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হচ্ছে সেখানে। সেই স্মরণসভার প্রস্তুতি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন বিধায়ক। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কার্যত বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধায়ক বিভাস সর্দার। তাঁর দাবি, দলগতভাবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আগেই সইফুদ্দিনের প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল। বিধায়ক নিজেও প্রশাসনের কাছে জানিয়েছিলেন বলে দাবি।
বারইপুর পূর্বের বিধায়কের বক্তব্য, “প্রশাসনকে বার বার বলেছিলাম, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে সইফুদ্দিন লস্করকে খুন করার চক্রান্ত করছে আনিসুর রহমান লস্কর। বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে, এটা আমাদের কাছেও খবর ছিল। আমরা বার বার সতর্ক করেছিলাম।” কিন্তু বিধায়ক সতর্ক করার পরও কীভাবে ঘটে গেল এমন কাণ্ড? তাহলে কি প্রশাসন ব্যর্থ হল? এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দিতে চাননি বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক। উত্তর এড়িয়ে বললেন, “এটা আমি বলব না। আর কিছু বলতে পারব না।”
বিধায়কের এই দাবির বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল বর্ষীয়ান বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। প্রশাসনকে আগে থেকে সতর্ক করা হয়েছিল বলে দাবি করছেন বিধায়ক। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করায় কান্তি গাঙ্গুলির দাবি, “সরকার ওদের। ওরাই প্রশাসনকে জানিয়েছিল। তাহলে তো এটা পুলিশেরই অপদার্থতা। তাদের বিরুদ্ধেই তো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, জয়নগরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আনিসুর রহমান লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এলাকায় সিপিএমের লোক হিসেবেই পরিচিত। যদিও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য়, “আনিসুরকে আনি চিনিও না, জানিও না। যে কোনও ঘটনা ঘটলেই ওরা সিপিএমের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে। এলাকায় শান্তি চাই।”