দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বাড়ির ‘দুয়ারে রেশন’ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ‘ডিজিটাল রেশনকার্ড’ ও ‘ই-রেশন’ প্রকল্পও চালু করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, ‘দুয়ারে রেশন’ তো দূর, সামান্য রেশন কার্ডটিই (Ration Card) পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ সোনারপুরের বাসিন্দাদের। আমজনের সমস্যা মেটাতে ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদে জোর দিলেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র (Lovely Maitra)।
সোনারপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রেশন কার্ড না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের জেরে ডাল-ভাতটাও জুটছে না অনেকের। রেশন কার্ড না থাকায় মিলছে না বিনামূল্যে রেশনও। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দফতরে ও প্রশাসনকে জানিয়েও এই পরিস্থিতির কোনও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রসূন হালদারের কথায়, “অনেকদিন ধরেই রেশনকার্ড (Ration Card) নেই। বিনা পয়সার চাল-ডালটা পাচ্ছি না। অনেক চিঠিপত্র লিখেছি। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। একে লকডাউন, তায় আগুন বাজার! রোজকার খাওয়াপরাটাও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাইছি, যাতে কার্ড টা দ্রুত পেয়ে যাই।”
রেশন কার্ড নিয়ে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক লাভলী মৈত্র। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি, রেশন কার্ড নিয়ে একটা সমস্যা হচ্ছে। অনেকে কার্ড পাননি। অনেকের কাছে মেসেজ গেলেও কার্ড পৌঁছয়নি। আমরা খবর নিয়ে দেখেছি প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই সমস্যার তালিকাভুক্ত। আমি বারুইপুরে মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে। সরকারি আধিকারিকরা ওই ২০ হাজার বাড়িতে গিয়ে সমস্ত তথ্যাদি জোগাড় করবে ও খতিয়ে দেখবে। সেই মতো তথ্য পেলেই আমরা কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু করব। বাড়িতে বসেই যাতে কার্ড পেয়ে যান সাধারণ মানুষ তাও চেষ্টা করা হচ্ছে। কার্ড (Ration Card) না পাওয়া পর্যন্ত যাতে সকলে রেশন পান এবং রেশন বন্টন কী করে করা যায় তার জন্য ডিলারদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মমতা! আজ থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হল ‘দুয়ারে রেশন’ পরিষেবা