সোনারপুর: উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনের দিকে সারা দেশের নজর রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট শুরুর আগেই অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে লখনউে গিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন শীঘ্রই তিনি আবার উত্তর প্রদেশে আসবেন এবং বারণসীতে যাবেন। সেই কথা মতোই হল কাজ। পুনরায় যান যোগী রাজ্যে। তবে এইবার মমতা যাওয়ার পরই দফায়-দফায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে কালো পতাকা দেখায় হিন্দু যুব বাহিনীর কর্মীরা। সঙ্গে উঠল গো-ব্যাক স্লোগান। এই খবর চাউর হতেই পশ্চিমবঙ্গে তীব্র নিন্দায় সরব হন শাসকদল। জেলায়-জেলায় প্রতিবাদ মিছিলে নামেন তারা। শনিবার এইরকমই প্রতিবাদ মিছিল করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। বলেন, ‘ভবিষ্যতে আর মুখ্যমন্ত্রীর উপর আক্রমণ হলে দেশ স্তব্ধ করে দেব।’
এদিনের সভায় প্রথম থেকেই আক্রমণের মেজাজে থাকেন শওকত। একের পর এক হুমকির সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। বিজেপির পাশাপাশি আইএসএফকে এক হাত নেন তৃণমূল নেতারা। শওকাত বক্তব্য রাখতে গিয়ে একযোগে বিরোধীদের ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি আগামী পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করবে বলেও জানান।
কী বললেন ক্যানিংয় পূর্বের বিধায়ক?
‘আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই এই ধরনের নোংরামোকে। বিজেপির যে সমস্ত নেতা কর্মী রয়েছেন তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই ভবিষ্যতে যদি ভারতের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর এই রকম ভাবে আক্রামণ হয় আগামীদিনে গোটা দেশ স্তব্ধ করে দেব। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় নামবেন।’
এদিন বিকেলে ভাঙড় কলেজ মাঠ থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল করে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সওকাত মোল্লা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাইজার আহমেদ, বাদল মোল্লা, বাহারুল ইসলামরা।
ভাঙড় মহাবিদ্যালয় থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত কয়েক হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতিতে এদিন মিছিল হয়।
বস্তুত, ৪ মার্চ বারণসীতে মমতাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। গঙ্গা আরতি দেখার জন্য ওই দিন তৃণমূল নেত্রী দশাশ্বমেধ ঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন গদৌলিয়া মোড়ের কাছে হিন্দু যুব বাহিনীর কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। এরপর মমতা গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, এই হিন্দু যুব বাহিনী যোগী আদিত্য নাথের সংগঠন বলেই পরিচিত উত্তর প্রদেশে।