TMC Leader Murder: নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় গুলি দুষ্কৃতীদের, মৃত্যু তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের

Abhigyan Naskar | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Nov 13, 2023 | 11:08 AM

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই ভোরবেলা নমাজ পড়তে যেতেন সইফুদ্দিন। সোমবার ভোরেও নমাজ পড়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। তাঁর বাড়ির কাছে মসজিদ। সেখানেই যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলির শব্দ শুনেই এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরা এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সইফুদ্দিন।

TMC Leader Murder: নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় গুলি দুষ্কৃতীদের, মৃত্যু তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের
মৃত তৃণমূল নেতা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জয়নগর: বাড়ি থেকে বেরিয়ে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। সে সময়ই দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হল তৃণমূল নেতার। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃত তৃণমূল নেতার নাম সইফুদ্দিন লস্কর (৪৩)। তিনি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং বামনগাছিতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। সইফুদ্দিনের স্ত্রী সেরিফা বিবি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনা জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই ভোরবেলা নমাজ পড়তে যেতেন সইফুদ্দিন। সোমবার ভোরেও নমাজ পড়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। তাঁর বাড়ির কাছে মসজিদ। সেখানেই যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলির শব্দ শুনেই এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরা এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সইফুদ্দিন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর এক নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ঘটনার খবর পেয়েই পদ্মেরহাট হাসপাতালে ছুটে আসেন স্থানীয় বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক বিভাস সর্দার। বিভাস বাবুর বলেছেন, “দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। সইফুদ্দিন আমাদের বামনগাছির অঞ্চল সভাপতি। ভোরবেলা নমাজ পড়তে যাচ্ছিল। বাড়ির সামনেই মসজিদ। পুলিশ ঘটনার শুরু করেছে। খুনের পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না তা দেখছে পুলিশ। চার-পাঁচ জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” এই ঘটনায় রাজনীতির যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনই কিছু বলেননি তৃণমূল বিধায়ক।

ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা অবশ্য এই খুনের জন্য বিজেপি এবং সিপিএমকে দায়ী করেছেন। স্থানীয়রাও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। এ বিষয় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “খুন হলেই ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করুক শাসকদল। পুলিশ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করুক।”

Next Article