গোসাবা : ফের গুলিবিদ্ধ আরও এক তৃণমূল কর্মী। সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিউর রহমানের। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জন মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি করা হল। পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি মনোরঞ্জনের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
গোসাবা বিধানসভার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সোমবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন মনোরঞ্জন নামে ওই তৃণমূল কর্মী। আর এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে শম্ভুনগরের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ বরুন ওরফে চিত্ত প্রামাণিকের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনোরঞ্জন মণ্ন্ডকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস। পুলিশ জানিয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার দাবি, নামে তৃণমূল হলেও আদতে ওই সব লোকজন বিজেপিই করেন।
এলাকার তৃণমূল কর্মীদের দাবি, যাঁরা গুলি করেছেন, তাঁদের চিনতে পেরেছেন মনোরঞ্জন। তাঁরা বিধায়কের ঘনিষ্ঠ হলেও আদতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানিয়েছেন বরুন ওরফে চিত্ত প্রামাণিক তৃণমূলেরই নেতা। তবে তাঁর দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একদল লোক এই অভিযোগ আনছে। আদতে বিজেপিই এই কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, নওদার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিউর রহমান খুনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই ঘটনার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্যে।