
কাকদ্বীপ: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরছিলেন। ছিলেন ভারতীয় জলসীমানাতেই। অভিযোগ, বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ এসে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ট্রলারে ধাক্কা মারে। ট্রলারটি তলিয়ে যায়। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও ৫ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ওই মৎস্যজীবীদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। ঘটনার খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিজনরা।
গত ১৪ ডিসেম্বর নামখানা থেকে ১৬ জন মৎস্যজীবী পারমিতা-১১ নামে একটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সোমবার ভোররাতে বাংলাদেশের নৌসেনার একটি জাহাজ ট্রলারটিকে ধাক্কা মারে। এরপর ভারতীয় জলসীমানায় ট্রলারটি ডুবে যায়। পাশের ট্রলার ও ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। রাতে উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। তবে ট্রলারের মাঝি রাখাল দাসের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তা নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের নাম মতি দাস, রাজদুল আলি শেখ, সঞ্জীব দাস, দিলীপ দাস ও রঞ্জন দাস। তাঁরা কাকদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা। এদিন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাঁদতে কাঁদতেই তাঁরা বলেন, “আমরা আমাদের বাড়ির লোককে চাই। আর কিছু চাই না।”
কান্নায় ভেঙে পড়েন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিজনরা
গতকালের ঘটনার বর্ণনা করে উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবী লিটন দাস বলেন, “আমরা ভারতীয় জলসীমানায় মাছ ধরছিলাম। বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ এসে আমাদের ট্রলারে ধাক্কা মারে। তারপর পালিয়ে যায়। আমাদের পাঁচ সঙ্গী এখনও নিখোঁজ। আমরা এর বিচার চাই। না হলে তারা আবার অন্য কোনও ট্রলারে এরকম ইচ্ছে করে ধাক্কা মারতে পারে।” সঙ্গীদের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন লিটন।