ক্যানিং: বাজারে বেরিয়ে ছিলেন। ফেরার পথেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর কোপ। ক্যানিংয়ে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি নান্টু গাজী। রাতে হামলার পর থেকে চিকিৎসা চললেও শেষ রক্ষা আর হয়নি। এদিন সকালেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগের তির আইএসএফের (ISF) দিকে। সূত্রের খবর, ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি নান্টুর শ্বশুরকে খুন (Murder) করেছিল দুষ্কৃতীরা। যা নিয়েও এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁর শ্বশুরও তৃণমূল করতেন। শ্বশুরের মৃত্যুর পর এলাকায় সংগঠনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন নান্টু।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাজার করতে বেরিয়ে ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। ফেরার পথেই তাঁকে ঘিরে ধরে বেশ কিছু দুুষ্কৃতী। চলে বেধড়ক মারধর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর পায়ে, কাঁধে একাধিক কোপ মারা হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে নান্টুর শ্যালক শামসের গাজি বলেন, “২০১৩ সালে এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আমার বাবা জুলফিকর গাজিকে খুন করে দিয়েছিল। সেটা নিয়ে এখন মামলা চলছে। বাবার কেসটা দেখছিল আমার ভগ্নিপতি। কাল ও বাজার থেকে যখন ফিরছিল তখন রাস্তায় ফেলে আইএসএফের লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলে। এরাই আমার বাবাকে আগে মেরেছিল।”
ছেলে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন নান্টুর বাবা মুক্তার আলী গাজি। তিনি বলেন, “ওর শ্বশুরের সব কিছু ওই দেখভাল করত। সেই রাগ থেকেই ওকে পিটিয়ে মেরে ফেলে আইএসএফের লোকজন। গাছ কাটার দা, ছুরি এসব দিয়ে কুপিয়েছে। ওরা দলে ৮ থেকে ১০ জন ছিল।” যদিও এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আইএসএফের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অসমর্থিত সূত্রে খবর, ভোট ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক হানাহানিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। তালিকায় রয়েছে শাসক থেকে বিরোধী, সবদলেরই কর্মীরাই।