দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুল থেকে ফিরছিল কিশোরী। বেশ কয়েকজন যুবক তার পিছু নেয়। ঘটনার প্রতিবাদ করায় মারধরের অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ে। এই ঘটনায় তিন মহিলা, এক যুবক জখম হয়েছেন। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই কিশোরীকে ধাওয়া করে এলাকারই কিছু যুবক। পথেঘাটে কুকথা বলে, স্কুলে যাওয়ার সময় ব্যাগ টেনে ধরে। এমনকী প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিত। সোমবারও এরকমই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ওই কিশোরী তার মাকে সবটা জানায়। এরপরই ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলতে যান তার মা। সেখানেই কথা কাটাকাটি এবং মারধর বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে ক্যানিং থানা এলাকার এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। রাতেই থানায় অভিযোগ জানায় কিশোরীর পরিবার।
অভিযোগ, নিয়মিত ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করত এলাকারই কয়েকজন ছেলে। সোমবার প্রতিবাদ করতেই মারমুখী হয়ে ওঠে অভিযুক্তরা। লাঠি, বাঁশ, দাঁ নিয়ে কিশোরীর পরিবারের উপর হামলা করে। মহিলাদের মাথায়, পিঠে মারা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের সকলেই কম বেশি আহত হন। মাটিতে পড়ে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। হইচই শুনে পাড়ার লোকেরা ভিড় করতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রাই আক্রন্তদের উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তিন মহিলা ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের জখম বেশি। আক্রান্ত ওই কিশোরী বলে, “রোজ যখন স্কুলে যাই খারাপ কথা বলে ওরা। বলে মেরে ফেলবে। স্কুলের ব্যাগ টেনে ধরে। আমি সোমবার মাকে সবটা বলি। এরপরই মা ওদের কাছে জানতে যায় কেন এরকম করছে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি। মা বলেছিল, দেখব কে আমার মেয়ের গায়ে হাত দেয়। এরপরই আমাদের ঘর থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে দাঁ দিয়ে কোপ মারে। আরও অনেকে ছিল। ওরা লাঠি দিয়ে মারধরও করে। আমাকে বাঁশ দিয়েও মেরেছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নবান্নের, জেলা জেলায় পৌঁছেছে বার্তাও