দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ডায়মন্ড হারবারের চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার নিল সিআইডি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রিয়া দাস ও তাঁর স্বামী অভিজিৎ দাসকে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। সেই ঘটনায় সিআইডির হাতে গেল তদন্তভার। আর তদন্তভার পেতেই ধৃত তিনজনকে চার দিনের হেফাজতে পেল সিআইডি।
এদিন রিয়া, অভিজিৎ ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কনস্টেবল বাকিবুল্লা বোরহানিকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। এফআইআর তালিকায় নাম থাকা এখনও তিন অভিযুক্ত অধরা। তাঁদের কেন এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন এলাকার লোকজনের।
ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের দীর্ঘদিনের চিকিৎসক কল্যাণাশিস। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সকলের সঙ্গে খুবই ব্যবহার করতেন তিনি। করোনার সময় যেভাবে এই চিকিৎসক সকলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, এখনও ভোলেননি এখানকার লোকজন। তাঁরই অকাল মৃত্যু উস্কে দেয় নানা প্রশ্ন।
চিকিৎসকদের কোয়ার্টারের ২০৪ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হয় কল্যাণাশিস ঘোষের মৃতদেহ। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেন, রিয়া তাঁর স্বামীকে প্রতারণার জালে জড়িয়ে সামাজিক সম্মানহানির চেষ্টা করা হয়। তা মানতে না পেরে এই ঘটনা বলেও দাবি করা হয়।