দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবারও তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বাসন্তীর পর এবার কুলতলিতে চলল গুলি। আবারও গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে অব্যহত শাসক ও বিরোধী সংঘর্ষ। সোমবার রাতের সংঘর্ষে কুলতলিতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল প্রার্থী কুতুবউদ্দিন ঘরামি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জয়নগর-কুলতলী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের তির সিপিআইএম ও এসইউসিআই আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কুলতলি থানার পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা কুলতলির মেরিগঞ্জ ১ নম্বর অঞ্চলের ঘরামি পাড়ায়।
সোমবার রাতে দলীয় কর্ম সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন কুতুবউদ্দিন। অভিযোগ, সেখানেই বেশ কয়েকজন তাঁকে প্রচারে বাধা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বচসা বাধে দু’পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ, সেই সময়েই ভিড়ের মধ্যে থেকে দুষ্কৃতীরা কুতুবউদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কুতুবউদ্দিন। তাঁকে নিয়ে যখন বাকিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখনই ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলতলি থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি আহত কুতুবউদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ প্রশাসন। যদিও গুলিচালনার ঘটনায় বিরোধী দলগুলির তরফে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গত শনিবারই বাসন্তীতে খুন হন তৃণমূল কর্মী জাহিরুল। তাঁর মৃত্যুতেও উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। পরিবারের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই প্রচারে বেরিয়ে খুন হতে হয়েছে জাহিরুলকে। সোমবারই জাহিরুলের মেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন। পা জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন তিনি। তাঁর মেয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলেই ক্ষোভ উগরে দেন। মনোনয়ন পর্ব থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা। ভাঙড়, ক্যানিংয়ের তপ্ত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তারপর বাসন্তীর তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল পরিদর্শন করে আসার পরই সোমবার রাতে ফের বাসন্তীতে চলে গুলি। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী। এরই মধ্যে আবারও গুলি চালনার ঘটনা।