দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উঠল। এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের শ্যালকের পরিচিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল। শনিবারের ঘটনা। জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসতের এক তৃণমূল কর্মী প্রবীর মণ্ডলকে প্রকাশ্যে উইকেট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। প্রথমে তাঁকে জয়নগর-১ ব্লকের পদ্মেরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আক্রান্ত প্রবীর মণ্ডল জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের অনুগামী হিসাবে পরিচিত। জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের শ্যালক তথা ব্লক তৃণমূল নেতা তুহিন বিশ্বাসের লোকেরা তাঁকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। প্রবীর মণ্ডল বলেন, “বিধায়কের ও তুহিনের গ্রুপের ছেলেরা মারধর করেছে। মুখ চিনি, নাম জানি না।”
তবে যাঁর বিরুদ্ধে এই মারধরে ইন্ধনের অভিযোগ সেই তুহিন বিশ্বাস বলেন, প্রবীর মণ্ডল বিধায়ককে হারাতে বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনায় তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই। বরং তাঁর দাবি, জুয়া খেলার সময় ঝামেলার কারণে কিংবা জমিজমা নিয়ে গোলমালের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এদিকে তৃণমূলের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের দাবি, আক্রান্ত প্রবীর তৃণমূলেরই।
প্রবীর মণ্ডলের ছেলে প্রিয়ব্রত মণ্ডল বলেন, “বাবা রোজই খেয়েদেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যায়। তাস খেলে। আজ ফোন এসেছে বিধায়কের গ্রুপের ছেলেরা মারধর করেছে বাবাকে। বাবাও তৃণমূল করে। বাবা বলছে মেরেছেও তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীরাই। তবে আমি তো সেখানে ছিলাম না। তাই যা বলার বাবা বলতে পারবে।”
যদিও তুহিন বিশ্বাস বলেন, “প্রবীর মণ্ডল ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই বিশ্বনাথ দাসকে হারাতে বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে যদি উনি দাবি করেন, তৃণমূল করেন। এটা পুরোপুরি মিথ্যা। দ্বিতীয়ত, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সকাল থেকে সন্ধ্যা ওখানে জুয়া খেলা হয়। সকলেই বলবে। আমি শুনেছি সেই জুয়া খেলা, জমিজমা নিয়ে ঝামেলা হয়।”
তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, “প্রবীর মণ্ডল আমাদের বহু পুরনো দিনের কর্মী। ১৯৯৮ সাল থেকে উনি আছেন। আজ ওকে উইকেট দিয়ে মারে পিছন থেকে। তবে কারা মেরেছেন উনি নাম করে কিছু বলেননি। তবে যারা এভাবে মারে আমি মনে করি, তারা দুষ্কৃতী। কোনও দলেরই লোক নয়। আর যেটা বলা হচ্ছে, উনি অন্য দলে যোগ দিয়েছেন, একেবারেই নয়।”