Awas Yojona: ১০ হাজার না দেওয়ায় নাম কেটে দিয়েছে, আবাসের ঘর নিয়ে তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ
South 24 Parganas: অভিযুক্তের বক্তব্য, তিনি টাকা পেতেন। সেটাই দাবি করেন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবাস প্লাসের (Awas Scheme) ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাটমানি চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে সেই কাটমানির ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয় আবেদনকারীর নাম। এই অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি ব্লকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কুলপি ব্লকের রামকিশোরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কালীতলা। সেই গ্রামেরই বাসিন্দা মাবুদ শেখের। তিনিই অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের আবাস তালিকায় তাঁর নাম ছিল। সম্প্রতি সেই তালিকা ধরেই সমীক্ষা করা হয়। অভিযোগ, সেই সময়ই কালীতলা এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শেখ শামিম আবেদনকারী মাবুদ শেখের কাছে ঘর পাইয়ে দেওয়ার বদলে টাকা দাবি করেন। ১০ হাজার টাকা চান। কিন্তু আবেদনকারী সেই টাকা দিতে পারেননি। এরপর তালিকা থেকে আবেদনকারীর নাম বাদ গিয়েছে বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য শেখ শামিম বলেন, “আমি মোটেই কোনও ঘরের টাকা চাইনি। আমি ওর কাছে একটা টাকা পাই, সেটা ২০ হাজার টাকা প্রায়। সেখানে ১০ হাজার টাকা ছাড় দিয়ে ওকে বলি ১০ হাজার দিস। তাও বলে মাসে মাসে হাজার টাকা করে দেবে। তাতেও রাজি হই। এমনকী ওর বাবার কাছেও টাকা পেতাম। একটা কাজের টাকা পেতাম।” আবাস প্লাসে ঘর পাওয়ানোর জন্য টাকার দাবির অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ শামিম বলেন, “আমার ঘর পাইয়ে দেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই। থানা, আশাকর্মী, আইসিডিএস থেকে খতিয়ে দেখছে। এতে আমাদের সদস্যদের কোনও হাত আছে?”
যদিও আবেদনকারী মাবুদ শেখ কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্তকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিডিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, “কাটমানি চাওয়ার বিষয়টি জানি না। দল খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবে। আর ওই আবেদনকারী বাড়ি পাওয়ার যোগ্য হলে প্রশাসন দেখবে।”
