Diamond Harbour: ডায়মন্ড হারবার পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ছাপিয়েছেন, নিয়োগও করেছেন অয়ন: ইডি সূত্র
South 24 Parganas: সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীরা হালদার। তিনি জানান, অয়ন শীলকে চেনেন না।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল ডায়মন্ড হারবার পুরসভার (Diamond Harbour)। ইতিমধ্যেই ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীল। আর এই অয়নের সূত্র ধরেই রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির তথ্য ইডির হাতে উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মিলিয়ে ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে তিনজন আবার ডায়মন্ড হারবারের বাইরের বাসিন্দা বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্রের বরাত দেওয়া হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থাকে। তবে অয়ন শীলকে চিনতেন না বলে দাবি করেছেন পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান। সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীরা হালদার। তিনি জানান, অয়ন শীলকে চেনেন না। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সমস্ত স্বচ্ছতা সামনে রেখেই নিয়োগ হয়েছে।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মীরা হালদার বলেন, “আমাদের পুরসভায় নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি। সেটা আমি জোর গলায় বলতে পারি। দুর্নীতিতে আমি নেই। তাই যাতে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হয়, বাইরে থেকে পরীক্ষা চলে সেই জন্য ব্যবস্থা নিই। বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই সংস্থার সঙ্গে তখন যোগাযোগ হয়েছিল। ২০১৬ সালে পরীক্ষা হয়। নিয়োগ হতে হতে ২০১৭ হয়ে যায়। ১৫ জন মনে হয় নিয়োগ হয়েছিল। একজন সরে যান। এই নিয়োগে কোনও প্রশ্নের জায়গাই নেই। প্রত্যেক প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন কেউ কোনও টাকা দিয়েছিলেন কি না।”
যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুফল ঘাটু বলেন, “পুরসভায় যে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। ৬০-৭০টা পুরসভায় প্রায় ৫ হাজার লোক নিয়োগ হয়েছে, সেটা ইডি আদালতে জানিয়েছে। তাতে ডায়মন্ড হারবারেরও নাম আছে। ২০১৬ সালে ১৬ জনের মতো নিয়োগ হয়েছে, সে নিয়োগে অস্বচ্ছতা থাকলে থাকতেও পারে। নাম যখন এসেছে কিছু তো একটা হয়েছে। খুঁজে দেখা হোক।”