Didir Doot: ‘ভোট চলে গেলে কুকুরছানার মতো ব্যবহার করে’, ‘দিদির দূতে’র সামনেই ক্ষোভ ‘দলীয় কর্মী’র

South 24 Parganas: নিজেদের তৃণমূলের কর্মী-‌সমর্থক বলে দাবি করে বেহাল রাস্তা, শ্মশান-সহ একাধিক কাজ কেন হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

Didir Doot: 'ভোট চলে গেলে কুকুরছানার মতো ব্যবহার করে', 'দিদির দূতে'র সামনেই ক্ষোভ 'দলীয় কর্মী'র
অভিযোগ জানাচ্ছেন সভাধিপতিকে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 9:49 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি কিংবা এলাকায় শাসকদলের যাঁরা মুখ তাঁদের জনসংযোগকে মজবুত করতে গত মাস থেকে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন ‘দিদির দূত’রা (Didir Doot)। এদিকে এই কর্মসূচিতে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে ‘দূত’দের। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ‘দিদির দূত’ হিসাবে গিয়ে দলেরই কর্মী-‌সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাপরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখকে। বিক্ষোভ থেকে রীতিমতো বচসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও সঙ্গে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ নামখানা ব্লকের হরিপুর গ্রামপঞ্চায়েতের আটমাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে পরিস্থিতি চলে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এরপরই সভাধিপতি এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে শামিমা শেখ বিক্ষোভের কথা মেনে নিলেও জানান, কয়েকজন মানুষ একসঙ্গে অভাব অভিযোগ জানিয়েছেন। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্যই তো দিদির দূত কর্মসূচি।

এদিন দিনভর হরিপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নেন শামিমা। বিকেলে আটমাইল এলাকায় গেলে ১৫০ থেকে ২০০ জন গ্রামবাসী শামিমা শেখের রাস্তা আটকান বলে অভিযোগ। নিজেদের তৃণমূলের কর্মী-‌সমর্থক বলে দাবি করে বেহাল রাস্তা, শ্মশান-সহ একাধিক কাজ কেন হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি ওই পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তোলেন তাঁরা। জেলা পরিষদ সদস্য শ্রীমন্ত মালির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। দু’‌পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়।

এলাকার এক ব্যক্তি যিনি নিজেকে আবার তৃণমূলের ব্লক নেতা বলে দাবিও করেন। তিনি এদিন সভাধিপতির উদ্দেশে বলেন, “আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসাবে এসেছেন। আপনাকে আমাদের কিছু কথা বলার আছে। সেগুলি আপনাকে শুনতে হবে। আমরাও দলের সৈনিক। আমি নিজেই এখানকার বুথের জেনারেল সেক্রেটারি। সাধারণ মানুষও আছেন। আমাদের এখানে ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের প্রধান আছেন। তিনবারের প্রধান আমাদের। কিন্তু এতগুলো বছর পঞ্চায়েত থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার রাস্তার কোনও উন্নয়ন হল না। ভোটের সময় বললে বলে, সব কাজ হয়ে যাবে। ভোট পেরিয়ে গেলে আমাদের সঙ্গে কুকুরছানার মতো ব্যবহার করে। একটাই অনুরোধ, রাস্তাটা করে দিন।”