দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নকল সোনার বাট (Gold Bar) বিক্রির অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নকল সোনার বাট দিয়ে ৩৪ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমে নকল সোনার বাট-সহ ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ভাঙড় থানার পুলিশ। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের নাম ইজরায়েল মোল্লা ও সফিকুল মোল্লা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড় থানার বড়ালির একটি প্লাস্টিক কারখানার মালিককে ওই সোনার বাট বিক্রি করেছিলেন অভিযুক্তরা। ৩৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই সোনার বাট বিক্রি করা হয়। প্রায় ১ কেজি সোনা বিক্রি করেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সোনা বিক্রির পরই ইজরায়েল মোল্লা-সহ তাঁর সঙ্গীরা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লিতে পালিয়ে যান। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ভাঙড় থানার পুলিশ দিল্লি থেকে ইজরায়েল মোল্লাকে গ্রেফতার করে। সেখান থেকে ভাঙড়ে নিয়ে আসা হয় ইজরায়েলকে। এরপরই দফায় দফায় শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
ইজরায়েলকে জেরা করেই এরপর সফিকুল মোল্লার নাম উঠে আসে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এরপর তাঁকে খড়গাছি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় আরও কয়েকজনের নাম পুলিশের হাতে উঠে এসেছে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা পলাতক। ইতিমধ্যেই তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু কীভাবে এই পর্দাফাঁস হল? জানা গিয়েছে, বড়ালির একটি প্লাস্টিক কারখানার মালিক বিষ্ণু আগরওয়াল সোনা কেনেন। আর সেই সোনা কেনার পর বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
তারপরই ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি নাম পুলিশের হাতে উঠে আসে। এরমধ্যে ছিলেন ইজরায়েলও। প্রথমে তাঁকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তদন্তের গতি যত এগোয়, আরও নাম উঠে আসে। সোনার বাটের পাশাপাশি যে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেখানে সবক’টিই ৫০০ টাকার নোট। এই চক্রের শিকড় কতদূর তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।