দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। স্কুলে রাখা কার্বলিক অ্যাসিড গায়ে পড়তেই জখম ছয় শিশু। সকলকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সোনাখালির এই ঘটনা ঘিরে হইচই এলাকায়। ৬ নম্বর সোনাখালি প্রাথমিক স্কুলে। ভোটের জন্য বন্ধ ছিল স্কুল। সেখানে ভোটকর্মীরা ছিলেন। এদিকে ভরা বর্ষায় এলাকায় বড্ড পোকামাকড়। ভোটকর্মীরা যাতে বিপদে না পড়েন, তার জন্য বোতল ভরে কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া ছিল। বৃহস্পতিবার সেই বোতলই এক ছাত্র অন্যজনের গায়ে ছুড়ে মারে। এরপরই ঘটে বিপত্তি। হাত পুড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তাদের নিয়ে হাসপাতালে ছোটে পরিবারের লোকজন।
রাজ প্রামাণিক নামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের কথায়, স্কুলে বস্তার পাশে বোতল রাখা ছিল। একজন বোতল ছুড়ে দেয়। তাতেই পুড়ে গিয়েছে। আরেক ছাত্রীর মুখ পুরো পুড়ে গিয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবার ক্ষোভ, ভোট হতেই স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে এসেছে। একবার স্কুলটা পরিষ্কার করিয়ে নিতে পারত। কত কিছুই তো পড়ে থাকতে পারে। বিপদ তো আরও বড় হতে পারত। ওই অভিভাবকের দাবি, যে তিনজন গুরুতর জখম হয়, তাদের একা ছেড়ে দেন শিক্ষকরা। তারা হেঁটে আগে ডাক্তারের কাছে যায়। পিছু পিছু শিক্ষকরা যান। অথচ একটা টোটো বা বাইকে করে ওদের নিয়ে আসতেই পারতেন শিক্ষকরা।
ভোটের পর বৃহস্পতিবারই প্রথম স্কুল খোলে। সকাল থেকেই দল বেধে বাচ্চারা স্কুলে আসতে শুরু করে। এলাকাবাসীর দাবি, বাচ্চারা খেলার সময় ওই বোতল একজন অপরজনের দিকে ছুড়ে দেয়। কোনওভাবে বোতলের ঢাকনা খুলে কারও হাতে, কারও মুখে, কারও পায়ে পরে কার্বলিক অ্যাসিড। কারও কারও জখম গুরুতর।