Canning: মাঝরাতে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হাজির ১০-১২ জন, এরপর যা করল, হিমস্রোত বয়ে যাবে শরীরে…

South 24 Parganas: সংস্থায় থাকা চারজন নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করার পর সংস্থার কন্টেনারের মধ্যে থাকা যন্ত্রপাতি ও নির্মাণের প্রয়োজনীয় লোহার সরঞ্জাম গাড়িতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

Canning: মাঝরাতে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হাজির ১০-১২ জন, এরপর যা করল, হিমস্রোত বয়ে যাবে শরীরে...
এই ব্রিজেই চলে লুঠপাট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 11:19 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুই ব্লকের সংযোগকারী ব্রিজের কাজ চলছে। এরইমধ্যেই নির্মাণকারী সংস্থায় দুষ্কৃতীর তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল। যন্ত্রাংশ লুঠপাট থেকে মারধর বাদ যায়নি কিছুই। এই ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শ্রমিক থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা। ক্যানিংয়ের (Canning) ২টি ব্লকের সংযোগকারী মাতলা ব্রিজের কাজ চলছে। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং। সেখানে এমন ঘটনায় কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ক্যানিং-১ ব্লকের মাতলা-১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত ও ক্যানিং-২ ব্লকের তাম্বুলদহ গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝে মাতলা নদী। সেই নদীর উপর ব্রিজ করে দুই ব্লক যুক্ত করার কাজ চলছে। এই ব্রিজ তৈরি হলে কয়েক হাজার মানুষের উপকার হবে। প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর এই কাজ করাচ্ছে।

কিন্তু অভিযোগ, এই ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ যখন শেষ পর্যায়ে, তখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে। ওই নির্মাণকারী সংস্থার অভিযোগ, চলতি মাসের ২৪ তারিখ গভীর রাতে ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেই সময় প্রায় ১০-১২ জনের একটি দুষ্কৃতী দল আগ্নেয়াস্ত্র ও গাড়ি নিয়ে সেখানে হামলা চালায়। প্রথমে জেনরেটরের আলো নিভিয়ে দেয়। তারপর নিরাপত্তা রক্ষীদের বেঁধে ফেলে।

এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে শ্রমিকদেরও বেঁধে ফেলে বলে অভিযোগ। সংস্থায় থাকা চারজন নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করার পর সংস্থার কন্টেনারের মধ্যে থাকা যন্ত্রপাতি ও নির্মাণের প্রয়োজনীয় লোহার সরঞ্জাম গাড়িতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় সংস্থার পক্ষ থেকে ক্যানিং থানায় অভিযোগও জানানো হয়। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুষ্কৃতীদের ধরার বিষয়ে আশাবাদী ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস।

বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, “দিন পাঁচেক আগে ব্রিজের শেষ ঢালাইয়ের দিন গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। যা শুনলাম ৮-১০ দুষ্কৃতী এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গাড়ি নিয়ে এসেছিল তারা। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। তদন্ত চলছে। তবে এলাকায় সিসিটিভি না থাকায় বোঝা যাচ্ছে না কারা এই ঘটনায় যুক্ত। আশা করছি অপরাধীরা দ্রুত ধরা পড়বে।” একইসঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার বিষয়টি নিয়েও তিনি বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। কীভাবে এটা ঘটল, পুলিশ দেখুক।