CPIM: ভাঙড়ের চারবারের সিপিএম বিধায়ক ছিলেন বাবা, অস্ত্র-সহ গ্রেফতার ছেলে
Bhangar: পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে পুলিশের কাছে খবর আসে, এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভাঙড় বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে গ্রেফতার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের ছেলে। অস্ত্র-সহ তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। রবিবার অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হন প্রয়াত বাদল জমাদারের ছেলে। ভাঙড়ের চারবারের বিধায়ক ছিলেন বাদল জমাদার। তাঁর ছেলে আনারুল জমাদারকে এদিন গ্রেফতার করা হয়। আনারুলও এলাকায় সক্রিয় রাজনীতিক। আনারুলের কাছ থেকে একটি রিভলভার ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ। ধৃতকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিপিএম ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। আইএসএফের দাবি, তদন্ত হোক নিরপেক্ষভাবে। তবে তৃণমূলের বক্তব্য, অস্ত্র মজুত করে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি চালাচ্ছে সিপিএম। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে পুলিশের কাছে খবর আসে, এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভাঙড় বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন। সেটি বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও পুলিশ জানতে পারে। এরপরই কাশীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর সেলিম রহমান মির্জা দল নিয়ে ভাঙড়ে যান। স্থানীয় খালপাড় এলাকায় ভাঙড় নতুন ব্রিজের কাছে এক সন্দেহভাজন যুবককে আটক করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর কাছ থেকে একটি আগেয়াস্ত্র ও পাঁচ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এরপরই জানা যায় ধৃতের পরিচয়।
এ বিষয়ে সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, “বাদল জমাদারের ছেলেকে শুনলাম ধরেছে। বাদল জমাদারের ছেলেকে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। ওরকম ছেলে ও নয়। কিন্তু পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক। এর ভিতরে ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখতে পাচ্ছি। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হোক। এই সরকারের আমলে ভুয়ো অস্ত্র মামলা দিয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বারবার দেখেছি। এক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে কি না দেখা দরকার।”
অন্যদিকে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কথায়, “আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। কেউ যদি অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ঘোরে, প্রশাসন আছে। তবে আমি একটা আশঙ্কায় আছি। সামনে পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। বিরোধীদের উপর নতুন করে দমন পীড়ন নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে না তো? প্রশাসন তদন্ত করুক, আইন আইনের পথে চলুক।”
তবে তৃণমূল এই ঘটনায় সিপিএমের ৩৪ বছরের রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে আনছে। তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, “যারা সিপিএম করেছে, গোটা ভাঙড়ে ৩৪ বছর ধরে সন্ত্রাস করেছে। গোটা বাংলাতেও তাই করেছে। আজ অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। এটা নিয়ে আর আলাদা করে বলার কিছুই নেই। পুলিশকে বলব এ ধরনের ঘটনা কঠোরভাবে দেখার জন্য। পঞ্চায়েত ভোটের জন্যই এরা আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে। এর আগেও ভাঙড়ের একাধিক জায়গা থেকে বোমার কারখানা, বন্দুকের কারখানার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আইএসএফ নেতা ও সিপিএম নেতাদের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে সেসব। পুলিশকে বারবার বলেছি এ নিয়ে।”