মহেশতলা: দু’বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওদের। ছ’মাসের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। সেই অশান্তি পৌঁছয় চরমে। এরপর মঙ্গলবার উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। গৃহবধূর বাপের বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে, স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে খুন করেছে। ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুস্মিতা দাস (২৪)। সুস্মিতা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরশুনা কাস্টডাঙা লিংক রোড এলাকার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে দু’বছর আগে সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে হয় মহেশতলা ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গারামপুর রোড মন্দির পাড়ার বাসিন্দা সুজিত দাসের। তবে বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তাঁদের ছ’মাসের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে সন্তান হওয়ার পর থেকেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল আরও বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ।
সোমবার সন্ধ্যেবেলা সুস্মিতা তাঁর মা-কে ফোন করে সাংসারিক অশান্তির কথা জানান। এরপর মঙ্গলবাস সকালে ওই গৃহবধূর ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় মহেশতলা থানায়।
মৃতের মা বলেন, “আমি কাজ থেকে এসে দেখলাম আমার শাশুড়ি্ ফোন কাঁদতে-কাঁদতে আমায় বলছে তোমার মেয়ে আর নেই। বলছে তোমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওদের বাড়ি থেকে কেউ খবর দেয়নি। অনেকদিন ধরেই মেয়ের উপর অত্যাচার করত। জামাই, শাশুড়ি সবাই মিলে মেরেছে।”