কাকদ্বীপ: স্বামী মারা গিয়েছেন। নিঃসন্তান। সাতকুলে কেউ নেই বৃদ্ধার। থাকার বলতে আছে এক দেওর। তবে তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল গুরুতর অভিযোগ। সম্পত্তি হাতানোর জন্য জীবিত বৃদ্ধাকেই মৃত ঘোষণা করলেন তাঁরা। এমনকী ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হল তাঁর নাম।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর রিফিউজি কলোনিতে। গত ২৫ বছর ধরে বাড়ি ছাড়া বৃদ্ধা আরতি জানা। সম্পতির দখল নিয়েছেন বৃদ্ধার দেওর ও তাঁর ছেলে। সত্তরের আরতি জানা এখন অসহায়।
বৃদ্ধার স্বামী গত ২৫ বছর আগে মারা গিয়েছেন। তিনি পেশায় চিত্রশিল্পী ছিলেন। নিঃসন্তান ছিলেন জানা দম্পত্তি। একাকী বৃদ্ধার বসতবাড়ি সহ কিছু জমি আছে। অভিযোগ, সেই সম্পত্তির ওপর লোভ পড়ে বৃদ্ধার দেওর ও তাঁর ছেলেদের। এরপর ভোটার তালিকায় নাম বাদ দেওয়ার পাশাপাশি বৃদ্ধার বাড়ি দখল করে নেয় ওই আত্নীয়রা। শেষে নিরাশ্রয় হয়ে ঘুরে বেড়াতে হয় তাঁকে। এরপর স্থানীয় নারায়ণপুরের বাসিন্দা মণিকা বর বৃদ্ধাকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। সুবিচার চেয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দারস্থ হয়েছেন ওই বৃদ্ধা। পুনরায় ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তি সহ সম্পত্তি ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। বৃদ্ধার দেওর এই অভিযোগ নিয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি।
এই বিষয়ে ওই বৃদ্ধা কাঁদতে-কাঁদতে বলেন, “আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন কে দেখবে আমায়? কোথায় থাকব আমি। সেই কারণে বিডিওর কাছে এসেছিলাম। দেওরের ছেলেরা আমায় মেরে ফেলতে চাইছে। বুঝতে পেরে পালিয়ে গিয়েছি। ভোট কেটে দেওয়া হয়েছে।” যদিও, এই বিষয়ে অভিযুক্ত দেওর বা তার ছেলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।