Canning Harassment: ‘কাজ করব না,আর না…’, শুধুমাত্র সন্দেহের কারণেই বউকে গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে পা ভাঙল স্বামী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Apr 21, 2022 | 4:56 PM

Canning: শুধুমাত্র সন্দেহর বসেই শাবল দিয়ে মেরে স্ত্রীর পা ভাঙল স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Canning Harassment: কাজ করব না,আর না..., শুধুমাত্র সন্দেহের কারণেই বউকে গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে পা ভাঙল স্বামী
নির্যাতিত মহিলা (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

ক্যানিং: দীর্ঘ ২২ বছরের সংসার। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তবে হঠাৎই আর্থিক সংকটে পড়ে যায় গোটা পরিবার।তাই সংসারের হাল ধরতে কলকাতায় কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন স্ত্রী। কিন্তু শান্তি নেই। শুধুমাত্র সন্দেহর বসেই শাবল দিয়ে মেরে স্ত্রীর পা ভাঙল স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা।গত প্রায় ২৫ বছর আগে ক্যানিং থানার দাঁড়িয়ার সুন্ধিপুকুরিয়া গ্রামের প্রতিমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ক্যানিংয়ের দক্ষিণ অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামের হরেন সর্দারের। দম্পতির ২২ বছরের এক ছেলে ও ১৮ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। বিগত প্রায় বছর দশেক আগে অর্থনৈতিক কারণে সমস্যায় পড়ে সর্দার পরিবার। সেই কারণে গৃহবধূ কাজের জন্য কলকাতায় যেতেন। অভিযোগ, কলকাতা থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরতেই স্বামীর সঙ্গে লাগাতার অশান্তি হত স্ত্রীর। এক সময় ওই গৃহবধূর স্বামী কলকাতায় কাজ করতে যেতে বাধাও দেয় তাঁকে। সেই বাধা উপেক্ষা করেই মহিলা কাজে যেতেন। বুধবার রাতে কলকাতা থেকে কাজ করে বড়িতে ফিরেছিলেন ওই গৃহবধূ।

অভিযোগ, সেই সময় ঘরের গ্রিলের মধ্যে তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন তাঁর স্বামী হরেন সর্দার। এরপর লোহার শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ডান-পা ভেঙে দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধূ যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন। প্রতিবেশীরা দৌড়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কজনক হলে তাঁকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন চিকিৎসকরা। যদিও ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ওই গৃহবধূ স্বামী হরেন সর্দার। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

নির্যাতিত মহিলা জানান, “পেটের দায়ে বাইরে গিয়েছিলাম। রোজ সন্দেহ করত আমাকে। আমি বলেছিলাম তুমি কাজ করো তাহলে আর আমাকে বাইরে যেতে হয় না। কিন্তু কাজও করবে না। এরপর আমি বাইরে গেলে আমায় সন্দেহ করত। কালকে মেরে পা ভেঙে দেয়। আমি আর কাজ করব না, আর না…।”

আরও পড়ুন: Malda Physical Asault Case: মুখে গামছা বেঁধে বাড়ি থেকেই তুলে নিয়ে গেল, মালদায় ধর্ষণের চেষ্টা নাবালিকাকে

Next Article