Canning Crime: মদ খেয়ে চুর হয়ে সিভিক পুলিশের স্ত্রীর সঙ্গে নোংরামি, পরে পুলিশের সামনেই অভিযুক্ত যা বললেন…

Canning: শনিবার কয়েকজন মদ্যপ যুবক নস্কর বাবুর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপরই পরিবারের সদস্যদের কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

Canning Crime: মদ খেয়ে চুর হয়ে সিভিক পুলিশের স্ত্রীর সঙ্গে নোংরামি, পরে পুলিশের সামনেই অভিযুক্ত যা বললেন...
আক্রান্ত মহিলা ও তার শ্বশুর (নিজস্ব ছবি)

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 20, 2022 | 1:05 PM

ক্যানিং: নিত্যদিনের মতোই ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সেই সময় হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে পড়লেন একদল যুবক। প্রত্যেকেই মদ খেয়ে চুড় হয়েছিল। এরপর হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে যায় তারা।গালাগালি করতে থাকে বাড়ির মহিলাদের। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় মদ্যপ যুবকদের হাতে আক্রান্ত বৃদ্ধ ও তাঁদের পুত্রবধূ।

আক্রান্তদের নাম শৈলেন নস্কর (৭০)। বৌমা কাকলি দে নস্কর (২৭)। সূত্রের খবর, শনিবার কয়েকজন মদ্যপ যুবক নস্কর বাবুর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপরই পরিবারের সদস্যদের কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তারই প্রতিবাদ করেন বৃদ্ধ শৈলেন নস্কর। তখন বৃদ্ধ ও তাঁর বৌমাকে বেধড়ক মারধর করে মদ্যপরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হন দু’জন।

আহত দুই ব্যক্তিকে প্রথমে ক্যানিং মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। রবিবার এ বিষয়ে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তরা। আহত বৃদ্ধ শৈলেন নস্কর রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন হোম গার্ড। তাঁর ছেলে গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের সিভিক পুলিশ। প্রশাসনে কাজ করেও রীতিমতো নিরাপত্তার অভাবে রয়েছে গোটা পরিবার। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

ওই মহিলার স্বামী বলেন, “ছেলেগুলো এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। গতকাল মদ খেয়ে আমাদের বাড়ি আসে। তারপর আমার স্ত্রীর সঙ্গে অসভ্যতা করে। তখন আমার বৃদ্ধ বাবা প্রতিবাদ করলে তাকেও ছেড়ে কথা বলে না ওরা। আমার বাবা ও স্ত্রীকে বধড়ক মারধর করে। বাড়ি ভাঙচুর করে। আমার স্ত্রীর মোবাইল পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে। এরপর পুলিশে খবর দিই। পুলিশ আটক করার পরও পুলিশের সামনেই প্রাণনাশের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে ওই ব্যক্তি। তারপর আমি ওসিকে ফোন করি। পুরো বিষয়টি জানাই। এখন খুবই আতঙ্কে রয়েছি আমরা। ”

আরও পড়ুন: Wild Fire Bankura: এখনও জ্বলছে শুশুনিয়া, পরিবেশ নিয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী

আরও পড়ুন: Farakka Crime: বন্ধুদের সঙ্গে যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল, পরে লিচু বাগানের ভিতর ভাইপোর অবস্থা দেখে স্তম্ভিত কাকা