কলকাতা: ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়েছে শুক্রবার। মেধাতালিকার প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন ২৭৬ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন এক জন করেই। তৃতীয় হয়েছেন চার জন। এই সাফল্যের পর তাঁদের উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্য়মের ক্যামেরায়। সাফল্যের পিছনে কে কতটা পরিশ্রম করেছেন, তা যেমন তাঁরা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন ভবিষ্যতে কী হতে চান। কী নিয়ে পড়তে চান।
এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন কোচবিহারের দিনহাটা সোনিদেবী জৈনি হাই স্কুলের ছাত্রী অদিশা দেবশর্মা। ৫০০-এর মধ্যে ৪৯৮ পেয়েছেন তিনি। প্রথম হওয়ার খবর আসতেই মিষ্টিমুখ ও উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে অদিশার বাড়িতে। উচ্চমাধ্যমিকে এই সাফল্য পেয়ে তিনি যে খুশি সে কথাও জানিয়েছেন অদিশা। প্রস্তুতির ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “সারা বছরই পড়াশোনা করতাম। টিউশন ছাড়া ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পড়তাম। পড়ার ফাঁকে অনেক সময় গল্পের বইও পড়তাম। গোয়েন্দা গল্প পড়তে আমার খুব ভাল লাগে। প্রচুর গোয়েন্দা বই রয়েছে আমার বাড়িতে। যতবারই কলকাতা গিয়েছি, বই না কিনে ফিরিনি।” টিউশনের শিক্ষকরা তাঁকে গত ২ বছরে প্রচুর সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোভিড অতিমারিতে স্কুল বন্ধ থাকায়, স্কুলে তেমন যাওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান বলে জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী। পাশাপাশি সৎপথে রোজগার করে পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্নও দেখেন অদিশা।
উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছেন কাটোয়ার অভীক দাস ও হুগলির সোহম দাস। কলকাতার পাঠভবন স্কুলের রোহিন সেন ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিচয় পারিও তৃতীয় হয়েছেন।
উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় হওয়া অভীক ও সোহম, ২ জনই মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ছিলেন। অভীক ২০২০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। সোহম হয়েছিলেন ষষ্ঠ। উচ্চ মাধ্যমিকে ২ জনেই হয়েছেন তৃতীয়। পেয়েছেন ৪৯৬ নম্বর। অভীক কাটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের ছাত্র। সাফল্যে ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরে খুশি অভীক। তিনি জানিয়েছেন, ভাল নম্বরের জন্য কৌশলে পড়াশোনা করতেন। ভবিষ্যতে ডাক্তারি পড়তে চানা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র সোহমও খুশি উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশে থাকায়। আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। আইআইটি বম্বে অথবা আইআইটি দিল্লি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চান তিনি। দিনে ১৪ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর বাবা-মা ২জনই শিক্ষক। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলো ও বই পড়তেও ভালবাসেন সোহম।