Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাতের অন্ধকারে বিজেপি প্রার্থীকে ‘মারধর’, বাড়িতে ‘হামলা’! উত্তপ্ত নানুর

যদিও, এই হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি শাসক শিবির (TMC)। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

রাতের অন্ধকারে বিজেপি প্রার্থীকে 'মারধর', বাড়িতে 'হামলা'! উত্তপ্ত নানুর
আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 10, 2021 | 2:33 PM

বীরভূম: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) জেরে ফের উত্তপ্ত নানুর। বুধবার রাতে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহাকে মারধর ও তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর দিকে। বিজেপির অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূল (TMC) আশ্রিত। ঘটনায়, গুরুতর আহত হন বিজেপি (BJP) প্রার্থী। ভেঙে গিয়েছে তাঁর গাড়ি বাইক।

গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটের পর থেকেই সন্ত্রাস চলছে গোটা বীরভূম জুড়ে। বিজেপি কর্মীরা বারবার আহত হচ্ছেন। ঘরছাড়াও অনেকে। বুধবার গভীর রাতে, নানুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁকে মারধর করে, জিনিস ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা এসে তারকেশ্বরবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী জানিয়েছেন, ওইদিন রাতে তাঁর উপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে। পিঠে ও মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর একটি গাড়ি ও বাইকও।

যদিও, এই হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি শাসক শিবির (TMC)। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এই তফশিলি আসনে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিধানচন্দ্র মাঝি। বিজেপির তরফে ছিলেন তারকেশ্বর সাহা। সংযুক্ত মোর্চার তরফে ছিলেন শ্যামলী প্রধান। প্রথমদিকে, বিজেপি এগিয়ে থাকলেও এই কেন্দ্রে শেষ জয়ের হাসি হেসেছে তৃণমূল। প্রায় ছহাজারের বেশি ভোটে জয় হয় বিধানচন্দ্র মাঝির। এমনকী, ২০১৬-র বিধানসভায় নির্বাচিত সিপিআইএমের শ্যামলী প্রধানকেও পিছনে ফেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন বিধানবাবু। ভোট আবহে এবং ভোটের পরেও বরাবরই রাজনৈতিক হিংসা ও সন্ত্রাসের জেরে আলোচ্য নানুর।

পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার সকালে, বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে, সিউড়ি লাগোয়া জাতীয় সড়কে ২০ টি সকেট বোমা (Bomb) উদ্ধার করে কাঁকড়তলার পুলিশ। ব্যাগ ভর্তি বোমাগুলি জঙ্গলের মধ্য়ে মজুত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীকে আটক করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গভীর রাতে বিকট আওয়াজ! বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বিজেপির অস্থায়ী কার্যালয়