AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এলাকা দখল ঘিরে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে, উত্তপ্ত নৈহাটি

 এই ঘটনায় নৈহাটি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন বাবুলাল অনুগামীরা।

এলাকা দখল ঘিরে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে, উত্তপ্ত নৈহাটি
ছবি: প্রতীকী
| Updated on: Mar 02, 2021 | 10:51 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে আহত শাসক শিবিরের(TMC) সাত কর্মী। সোমবার রাতে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নৈহাটিকে (Naihati) গোয়ালা ফটক। ঘটনার জেরে গুরুতর আহত হন দুই তৃণমূল কর্মী।

জানা গিয়েছে, একটি দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে আচমকাই বচসায় জড়িয়ে পড়ে গোয়ালা ঘাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দুই স্থানীয় তৃণমূল(TMC) নেতা গোষ্ঠীর মধ্যেই এই বিরোধের সূত্রপাত। স্থানীয় নেতা বাবুলাল যাদব ও তাঁর অনুগামীরা আরেক তৃণমূল নেতা বিষ্ণু অধিকারীর ভাইয়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বচসার জেরে আক্রান্ত হন বাবুলাল। তাঁর মাথায় ১৩ টি সেলাই পড়েছে। ঘটনার জেরে আক্রান্ত হয়েছেন বাবুলালের মেয়ে ও বাবা।

আরও পড়ুন: বঙ্গ রাজনীতিতে রাতারাতি প্রাসঙ্গিক সিদ্দিকির আইএসএফ, কে এই আব্বাস সিদ্দিকি?

বাবুলালের অনুগামীদের অভিযোগ, দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। আচমকাই, লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা করে বিষ্ণুর দলের লোকেরা। এই ঘটনায় নৈহাটি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন বাবুলাল অনুগামীরা।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা বিষ্ণু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিন্দনীয়। যাঁরা এই হামলা করেছেন তাঁদের যোগ্য শাস্তি হওয়া উচিত। তবে, যেকোনও হামলায় তাঁর নাম জড়ানোতেও রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বেসুরো বাজছেন বিষ্ণু। আগামী দিনে কিছু সিদ্ধান্ত নিতেও পারেন তিনি।

আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদী পোস্টার, সবটাই বিরোধীদের চক্রান্ত, খোঁচা ছত্রধরের

শাসক শিবিরের এই গোষ্টীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তোপ দেখেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ‘ক্লাবে ক্লাবে টাকা দিয়ে মস্তান তৈরি করেছেন মমতা। তৃণমূলের (TMC) সরকার আর থাকবে না। তাই নিজেদের মধ্যেই লড়াই করছে ঘাসফুল।’

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখছে নৈহাটি থানার পুলিশ।