DA Strike: ‘যদি সরকার বলে, ডিএ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুলে আসবেন না। কী করবেন?’ প্রধান শিক্ষককে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

Shuvendu Halder | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Mar 13, 2023 | 2:54 PM

আগামী দিনে এমন ঘটনা ঘটলে পরিণাম খারাপ হবে বলেও হুঁশিয়ারিও দেন তৃণমূল নেতা সহ অভিভাবকেরা।

DA Strike: যদি সরকার বলে, ডিএ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুলে আসবেন না। কী করবেন? প্রধান শিক্ষককে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
কুলপি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ।

Follow Us

কুলপি: উত্তর ২৪ পরগনার পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ডিএ আন্দোলনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি। আর এবার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন অভিভাবকদেরও একাংশ। সোমবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি ব্লকের রাজারামপুর পঞ্চায়েতের উত্তর ভবগবানপুর প্রাথমিক স্কুলে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।

জানা গিয়েছে, এদিন বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ ক্লাস চলাকালীন উত্তর ভবগবানপুর প্রাথমিক স্কুলে হাজির হন রাজারামপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মহম্মদ নুর আলম গাজি সহ অভিভাবকদের একাংশ। তাঁরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মলয় মণ্ডলকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। কেন ধর্মঘটের দিন তিনি স্কুলে আসেননি তা নিয়ে রীতিমতো কৈফিয়ত জানতে চান। পাশাপাশি ওই দিন মিড-‌ডে মিল কেন বন্ধ ছিল তা নিয়েও শুরু হয় বাতবিতণ্ডা। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে অভিভাবকরাও চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন। আগামী দিনে এমন ঘটনা ঘটলে পরিণাম খারাপ হবে বলেও হুঁশিয়ারিও দেন তৃণমূল নেতা সহ অভিভাবকেরা।

যদিও বিক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মলয় মণ্ডল স্পষ্টত বলেন, “এটা রুটি রুজির লড়াই। ভবিষ্যতে আবারও ধর্মঘট হলে সামিল হব।” ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। তারপর প্রায় আধ ঘণ্টা বেশি সময় ধরে এই বিক্ষোভ চলার পর নুর আলম গাজি ও অভিভাবকেরা স্কুল থেকে বেরিয়ে যান।

তবে স্কুলে ঢুকে এভাবে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ-হুঁশিয়ারির ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শিক্ষক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। যদিও হুঁশিয়ারির কথা অস্বীকার করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ নূর আলম গাজি। তিনি বলেন, “শুক্রবার ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকেরা। স্কুলে মাত্র তিনজন শিক্ষক এসেছিলেন। ফলে আমাদের বাচ্চারা মিড-ডে মিল খেতে পারেনি। সেজন্যই আমরা প্রধান শিক্ষককে বলতে এসেছি। আমরা কোনও শাঁসানি দিইনি। শান্তভাবেই তাঁকে বলেছি, যাতে এরকম ঘটনা আগামী দিনে না হয়। আমরা চাই, সরকারের নিয়ম মেনে স্কুল চলুক।”

Next Article