ময়না: ফের শুভেন্দুর জেলায় উড়ল সবুজ আবির। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সমবায় নির্বাচনে বিরোধীরা উঠে এলেও পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ময়নায় শেষ হাসি হাসল শাসকদল (TMC)। আর মুখ থুবড়ে পড়ল বাম-বিজেপি জোট। রবিবার ময়নার সমবায় নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল। ৫৩টি আসনের মধ্যে মোট ৩৩টি আসনই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।
এদিন বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি জোটকে হারিয়ে ময়না ব্লকের নারিকেলদাহ এবং পশ্চিম নৈছনপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির ভোটে জয়লাভ করল তৃণমূল।এর মধ্যে দুটি আসন তৃণমূল আগেই জয় লাভ করে। মধ্যে ৩১ টি আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন ময়না ব্লকের নারিকেলদাহ এবং পশ্চিম নৈছনপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির ভোট ছিল। মোট আসন ছিল ৫৩টি। যার মধ্যে মনোনয়ন পর্বে ২ টি আসনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বাকি ৫১ টি আসনে এদিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় সম্পন্ন হয় ভোটগ্রহণ। রাত ৮টা নাগাদ গণনা শেষে দেখা যায়, ৩১ আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। বাকি ২০ আসনে জয়ী হয়েছেন প্রগতিশীল মোর্চা সমর্থিত প্রার্থীরা। এটা বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি জোট বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।
সমবায় ভোটে জয়লাভ করার পরে স্বাভাবিকভাবে ঘাসফুল শিবিরে উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। জয়লাভের পরে সবুজ আবিরে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত ময়না ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দীপব্রত দাস বলেন, “রামধনু জোটকে হারিয়ে আমরা জয় পেয়েছি। প্রগতিশীল মোর্চার ব্যানারে বাম ও বিজেপি জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিল তৃণমূল প্রার্থীদের হারাতে। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের আশীর্বাদ করেছে চেষ্টা করব তাদের দাবি পূরণের।”
অন্যদিকে, বামেদের সঙ্গে জোটের কথা অস্বীকার করে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও রাজনৈতিক জোট হয়নি। সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের সমবায়ীরা জোট করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে শাসকদল।” একইভাবে বিজেপির সঙ্গে জোটের কথা খারিজ করে সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম জয়ী হব। বাম ও কংগ্রেস জোট হয়েছে। বিজেপি আমাদের সঙ্গে নেই। এই ফল আশাতীত নয়। আগামীদিনে নজর দিতে হবে।”