Sundarban: বৈঠা-লাঠি নিয়ে বাঘের সঙ্গে লড়াই, দক্ষিণরায়ের মুখ থেকে মৎস্যজীবীকে ছিনিয়ে নিল সঙ্গীরা
Sundarban: জানা গিয়েছে, রবিবার দাদা সুদীপ মণ্ডল ও দুই প্রতিবেশী দেবু মণ্ডল, ভোলা মণ্ডলের সঙ্গে সুন্দরবনে যান দীপক। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত হরিখালি এলাকায় খাঁড়ির মধ্যে কাঁকড়া ধরার জন্য চার ফেলার সময় বাঘের হামলা হয়। বাঘটি পিছনে ম্যানগ্রোভের ঝোঁপের ভিতর লুকিয়ে নজরদারি চালাচ্ছিল।
জানা গিয়েছে, রবিবার দাদা সুদীপ মণ্ডল ও দুই প্রতিবেশী দেবু মণ্ডল, ভোলা মণ্ডলের সঙ্গে সুন্দরবনে যান দীপক। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত হরিখালি এলাকায় খাঁড়ির মধ্যে কাঁকড়া ধরার জন্য চার ফেলার সময় বাঘের হামলা হয়। বাঘটি পিছনে ম্যানগ্রোভের ঝোঁপের ভিতর লুকিয়ে নজরদারি চালাচ্ছিল।
মৎস্যজীবীদের দল যেতেই হামলা চালায়। আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে দীপকের উপরে। ঘাড়ে কামড় বসাতেই নদীর জলে পড়ে যান তিনি। দীপকের দাদা জানান, তাঁদের চোখের সামনেই বাঘটি দীপকের দেহটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এরপর শুরু হয় বাঘে-মানুষে লড়াই।
দীপকের দাদা ও অন্যান্য সঙ্গী নৌকায় থাকা লাঠি ও বৈঠা নিয়ে বাঘের পিছু ধাওয়া করে। বাঘটিকে সামনে পেয়েই হাতে থাকা লাঠি ও বৈঠা নিয়ে চিৎকার করে ভয় দেখাতে থাকে। প্রথমে কিছুতেই শিকার ছাড়তে চায়নি দক্ষিণরায়। বাঘের সে কী তর্জন গর্জন! তবে ওই তিনজনের অসীম সাহসের সামনে হাল ছাড়ে বাঘবাবাজি। জঙ্গলে ঢুকে যায় সে।
এরপরই দীপকের নিথর দেহ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কুমিরমারি গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার জেটি ঘাটে এসে পৌঁছন তাঁরা। সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের দাবি, বৈধ অনুমতি নিয়েই কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল ওই দলটি। তবে এমন পরিণতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।