দার্জিলিং: এক সপ্তাহের মধ্যে ফের দার্জিলিঙে দুর্ঘটনার কবলে টয় ট্রেন। এবার বাতাসিয়া লুপ ও ঘুম স্টেশনের মাঝে উল্টে গিয়েছে যাত্রী সহ টয় ট্রেন। যদিও চালক বা যাত্রীদের হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে শনিবার বিকালে জাতীয় সড়ক লাগোয়া এই দুর্ঘটনার জেরে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মাঝরাস্তায় আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। যার মধ্যে অসংখ্য কলকাতা, হাওড়ার পর্যটকও রয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে, পাহাড়ি রাস্তায় অন্ধকারে গাড়ির মধ্যে আটকে পড়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা পর্যটকদের। ভরা মরশুমে এভাবে পরপর টয় ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে পর্যটক থেকে ট্যুর ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে ঘুম স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে দার্জিলিঙের দিকে রওনা দিয়েছিল টয় ট্রেনটি। স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ঘুম জোড় বাংলোর কাছে হঠাৎ করেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর উল্টে যায় টয় ট্রেনের ইঞ্জিনটি। যদিও ট্রেনের চালক এবং যাত্রীরা অক্ষত রয়েছেন। তবে এই ঘটনায় ঘুম লাগোয়া জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
টয় ট্রেন উল্টে যাওয়ার খবর পেয়েই অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জাতীয় সড়কের উপর থেকে উল্টে যাওয়া ইঞ্জিনটি তুলে টয় ট্রেনটি টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ট্রেনটির যাত্রীদেরও গাড়িতে করে দার্জিলিঙে পৌঁছনোর বন্দোবস্ত করা হয়। তবে দুর্ঘটনা ঘটার ঘণ্টা খানেক পরেও উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়নি। ফলে জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পর্যটকদের গাড়ি। ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত হাওড়া শিবপুর থেকে দার্জিলিঙে বেড়াতে যাওয়া অনঙ্গজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পরিবার নিয়ে দার্জিলিং বেড়াতে এসেছিলাম। টয় ট্রেন দুর্ঘটনার ফলে আমাদের গাড়িও জোড়াবাংলোর কাছে আটকে পড়েছে। আমাদের মতো অসংখ্যা বাঙালি পর্যটকের গাড়ি আটকে রয়েছে। এক ঘণ্টা হয়ে গেল। তীব্র ঠান্ডায়, অন্ধকারে পাহাড়ি রাস্তায় ঠায় বসে রয়েছি।” এদিনের বেড়ানো তো শিকেয় উঠেছে। কখন হোটেলে ফিরতে পারবেন, তা ভেবে কার্যত দিশাহারা অঙ্গনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ পাহাড়ি রাস্তায় আটকে পড়া পর্যটকেরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কার্শিয়াঙের গোথেলস সাইডিংয়ের কাছে বেলাইন হয়ে উল্টে যায় একটি টয় ট্রেন। ক্রেন দিয়ে টেনে কারশেডে নিয়ে যাওয়ার সময়ই টয় ট্রেনের ইঞ্জিনটি উল্টে যায়। ট্রেনে কোনও যাত্রী না থাকায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে জাতীয় সড়ক লাগোয়া এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পর্যটকদের গাড়ি।