
তারকেশ্বর-ব্যারাকপুর: তারকেশ্বর থেকে পান্ডুয়া, ব্যারাকপুর থেকে যাদবপুর, সকাল থেকেই দিকে দিকে রেল অবরোধ ধর্মঘটীদের। সপ্তাহের মাঝে চরম ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-কৃষক নীতির বিরোধিতা করে দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটের ভালই প্রভাব পড়ল হুগলির তারকেশ্বরে। সাতসকালেই তারকেশ্বরের তালপুর স্টেশনে তারকেশ্বর-আরামবাগ ট্রেন আটকে দেয় বাম কর্মী সমর্থকেরা। ব্যারাকপুর ১৫ নম্বর রেলগেটের কাছে অবোরোধ বনধ সমর্থকদের। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধ্বস্তাধস্তিও হয়। শেষে রেললাইন ফাঁকা করতে নামানো হয় র্যাফ।
অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচলে বেশ কিছুটা প্রভাব পড়ে। মেন শাখায় আটকে যায় বেশ কিছু ট্রেন। শেষে পুলিশ অবরোধকারীদের তুললে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। অবরোধ চলে পান্ডুয়া স্টেশনেও। ডাউন বর্ধমান হাওড়া লোকাল পান্ডুয়া স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকতেই লাইনের উপর নেমে অবরোধ শুরু করে বনধ সমর্থকরা। নেতৃত্বে পান্ডুয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন। ছুটে আসে রেল পুলিশ। যাদবপুর স্টেশনেও রেল অবরোধের চেষ্টা চলে। দুর্গাপুর স্টেশনেও রেল অবরোধের চেষ্টা হয়।
তবে শুধু রেল অবরোধ নয়, দিকে দিকে রাস্তাও অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। সকাল থেকেই হুগলির বিভিন্ন জায়গায় চলে রাস্তা অবরোধ। তারকেশ্বরের জয়কৃষ্ণ বাজার এলাকায় তারকেশ্বর-আরামবাগ ও তারকেশ্বর-বর্ধমান রোড এবং চাঁপাডাঙ্গা এলাকায় ডানকুনি-আরামবাগ রোডে চলে অবরোধ। কৃষ্ণনগরেও আটকানো হয় বা। বৃষ্টির মধ্যে সরকারি বাসের সামনে লাল পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন প্রচুর বাম সমর্থক। রায়দিঘি ডায়মন্ড হারবার রোডেও চলে অবরোধ। বাগদার হেলেঞ্চাতে বাগদা বনগাঁ রাজ্য সড়ক সড়ক অবরোধ করে বামেরা।