ইসলামপুর: রায়গঞ্জে উপনির্বাচনের রেজাল্ট বের হতে না হতেই চলেছে গুলি। ঝরছে রক্ত। গিয়েছে প্রাণ। টার্গেট ইসলামপুরের দুই তৃণমূল নেতা। তার মধ্যে বাপি রায় নামে এক তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে শনিবার রাতেই। তিনি আবার ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মহম্মদ সাজ্জাদ নামে আরও এক তৃণমূল নেতা। তিনি আবার রামগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন চাপানউতোর। অন্যদিকে যে ধাবায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে তা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে গোটা ইসলামপুরই একেবারে থমথমে। দিকে দিকে মোতায়েন পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ধাবা মালিক ও কর্মীদের আটক করে জিঞ্জাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখে মাস্ক পরে এসেছিল আততায়ীরা। আগে থেকেই ঠিক ছিল টার্গেট। একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বাপিকে চার রাউন্ড গুলি চালায় আততায়ীরা। মুহূর্তেই বাপির অসার দেহ লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। দূরে গাড়ি রেখে রেইকি করে এসেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পালায় আততায়ীরা। গুরুতর আহত হন সাজ্জাদ। কিন্তু কেন শুটআউট? তা এখনও স্পষ্ট নয়। ক্রাইম সিন সিল করে রেখেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, এর আগে নকল মদ বানানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বাপি রায়। এলাকায় ঠিকাদারি ছাড়াও জমির কারবার করতেন বাপি। বাপির স্ত্রী এবার প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও হন তৃণমূলের টিকিটে। এলাকাবাসীরা বলছেন, বিপুল অর্থবল বাপির।
সূত্রের খবর, যে ধাবায় এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে নিয়মিত আসতেন বাপি। এর আগে নকল মদের কারবার করে এই হোটেল থেকেই গ্রেফতার হন বাপী। পরে জামিনে ছাড়া পান। তবে রাত হলেই হোটেলে আসা ছাড়েননি বাপীই। রাত হলেই এখানে নিয়মিত আসতেন বাপি-সাজ্জাদরা। রাতভর চলত বৈঠক। জানা যাচ্ছে এমনটাই। বসতেনও নির্দিষ্ট জায়গায়। শনিবারও সেখানেই বসেছিলেন বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আততায়ীরা আগে থেকেই জানত ওখানেই বসে বাপী। সে কারণেই সোজা বাপির কাছে গিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।