উত্তর দিনাজপুর: নৈশ ভোজের পর রাতের বেলা ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। বাড়ির সামনেই ঘুরছিলেন তিনি সেই সময়। হঠাৎ গুলির শব্দ। আর তারপরই জখম ওই ব্যক্তি। এই ঘটনার পর উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার বন্দিরামগছ এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
অভিযোগ, শুক্র মহম্মদ। পেশায় ভ্যানচালক তিনি। রাতে নৈশ ভোজের পর বাড়ির সামনের রাস্তায় পায়চারি করছিলেন। ওই রাস্তারই বিপরীতে একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। অভিযোগ, ওই বাড়ি থেকেই আচমকা গুলি ছোড়া হয়। সঙ্গে-সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হন ওই ব্যক্তি। রাতেই গুরুতর জখম অবস্থায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। বর্তমানে সেইখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
এদিকে, শুক্রবাবুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত নন। তাহলে কেন গুলি খেতে হল তাঁকে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। শুক্র মহম্মদের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী রাতের বেলা ভাত খেয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় পায়চারি করছিলেন। সেই সময় হঠার তিনতলা বাড়ি থেকে গুলি চালানো হয়। আমার বাড়ি-ঘর ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমরা কেউ কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমারা নিজেরাই ঘরে থাকি। অনেক কষ্ট করে দিন যাপন করি। আমরা কিছুই জানি না।”
প্রসঙ্গত, গত দু’মাস আগে পার্সেল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল জেলার হেমতাবাদা। ওষুধের দোকানের এক ব্যবসায়ীর হাতে এক টোটোচালক পার্সেল দিয়ে চলে যায়। এরপর সেই পার্সেল খুলতেই হাঠাৎ ফেটে যায় সেটি। গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি। পার্সেলকাণ্ডে সেই সময় থেকেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন কীভাবে পার্সেলের মধ্যে বোমা এল, কেই বা নিয়ে এল পুরোটাই খতিয়ে দেখে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে জেলার আিন-শৃঙ্খলা নিয়ে। আর এদিনের ঘটনা আরও একবার সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।