উত্তর দিনাজপুর: বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ভাঙছে পদ্ম শিবির। একে একে দল ছেড়েছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতৃত্ব। ভাঙন ধরেছে বিজেপির বুথস্তরেও। কিছুদিন আগে, কালিয়াগঞ্জের ‘মুকুল ঘনিষ্ঠ’ বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় ‘বেসুর’ বেজেছিলেন। সুর বদলেছিলেন রায়গঞ্জের পৌরপ্রধান অসীম অধিকারীও। এ বার, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন রায়গঞ্জ কমলাবাড়ির পঞ্চায়েত প্রধান যমুনা বর্মণ, শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য সঞ্চালক দশরথ রায় এবং শিল্প ও পরিকাঠামো সঞ্চালক বনিফাস কেরকেট্টা।
বৃহস্পতিবার, রায়গঞ্জের ব্লক আধিকারিক শুভজিৎ মণ্ডলের কাছে হলফনামা জমা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি নেতৃত্ব। ওই পঞ্চায়েতে মোট ১৩টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারমধ্যে নয়টি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। তৃণমূলের দখলে চারটি আসন যায়। এদিন, ওই পঞ্চায়েতের বিজেপির তিনজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেখানে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত। তবে, এরপর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে শাসক শিবির অনাস্থা আনবে কি না সে বিষয়ে মুখ খোলেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
রায়গঞ্জ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মানসকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপির ওই তিনজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল সরকারিভাবে এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করল। দলের তরফে এখনো যমুনাদেবীকে প্রধান পদে এবং দশরথবাবু ও বনিফাসবাবুকে সঞ্চালকের পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শাসক শিবিরে সদ্য যোগদানকারী যমুনা বর্মণ বলেন, “বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখে না। তাই আর বিজেপিতে থাকব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।”
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। তাই তৃণমূল পায়ের তলায় রাজনৈতিক মাটি শক্ত করতে ওই পঞ্চায়েতের বিজেপির তিন সদস্যকে ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে দলে টেনেছে। সময়ে মানুষই এর জবাব দেবে।”
আরও পড়ুন: রাস্তা তৈরিতে ২লক্ষ টাকা কাটমানি! না দিলে কাজ বন্ধের ‘হুমকি’ তৃণমূল নেতার