Chopra: ৮ বিঘা শরিকি জমির দখলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, গুরুতর জখম শিশু-সহ ১০
Chopra: অভিযোগ, হাকিমুদ্দিনের পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত ৮ বিঘা জমি জোর করে দখলের চেষ্টা করছিল তারই দুই শরিক সমিরুদ্দিন। মঙ্গলবার হাকিমুদ্দিনের বাড়ির সামনে খড়ের গাদা ও একটি গবাদি পশুর ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দখলকারিরা বলে অভিযোগ।

চোপড়া: ৮ বিঘা শরিকি জমির দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর তুমুল সংঘর্ষ। ঘটনায় দুজন নাবালিকা ও বেশ কয়েকজন মহিলা-সহ ১০ জন গুরুতর জখম। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগছ গ্রাম। আহতদের চোপড়া দলুয়া হাসপাতাল ও ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, হাকিমুদ্দিনের পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত ৮ বিঘা জমি জোর করে দখলের চেষ্টা করছিল তারই দুই শরিক সমিরুদ্দিন। মঙ্গলবার হাকিমুদ্দিনের বাড়ির সামনে খড়ের গাদা ও একটি গবাদি পশুর ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দখলকারিরা বলে অভিযোগ। পাশাপাশি লাঠি ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষই একে অন্যের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এদিকে দু’পক্ষই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক। কিন্তু সমিরুদ্দিন প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের ওই ৮ বিঘা জমিও দখলে নিতে চাইছে বলে অভিযোগ হাকিমুদ্দিনের। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল বাহিনী।
জমির মালিক হাকিমুদ্দিন বলেন, “রোজা শেষে সকাল ৯টায় ঘুম থেকে উঠি। তারপর মাঠে গিয়ে দেখি, ওদের অনেক লোকজন জড়ো হয়েছে। ভাবি, হয়তো জমি দখল করতে এসেছে। আমরা বলেছিলাম, আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু ওরা বলছে, লাঠিচার্জ করেই জমি নিয়ে নেব। ৬৫ সালের ওদের জমির একটা অংশ রেকর্ড হয়েছে। সেটায় চাষ করে খায়। ওদের ১৬ বিঘা জমি রয়েছে। আরও ৮ বিঘা চাইছে।”
অন্যদিকে সমিরুদ্দিনের পক্ষের রমজান আলি বলেন, “প্রথমে ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ এসে শান্ত করে যায়। তারপর আমরা যখন নমাজের জন্য যাচ্ছিলাম, ওরা লাঠি নিয়ে এসে মারধর করতে থাকে। জমি নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। জমিটা আমরাই পাচ্ছি, ওরা দিচ্ছে না। ফয়সালা আমাদের পক্ষেই ছিল।”





