Road Accident: ভয়ঙ্কর পথদুর্ঘটনা! কাদার পাঁক থেকে তুলে আনা হচ্ছে একের পর এক মৃত পরিযায়ী শ্রমিক
Migrant Worker: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ওই বাসটি লখনউয়ের দিকে যাচ্ছিল।
উত্তর দিনাজপুর: ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা (Road Accident) রায়গঞ্জে। বাস উল্টে মৃত্যু হল ছ’জন পরিযায়ী শ্রমিকের। বুধবার রাতে নয়ানজুলিতে বাস পড়ে গিয়েই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু’জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ওই বাসটি লখনউয়ের দিকে যাচ্ছিল। রায়গঞ্জে নির্মীয়মাণ জাতীয় সড়ক ও পুরনো জাতীয় সড়কের সংযোগস্থলে রূপাহারের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। এদিকে জল-কাদায় ভর্তি নয়ানজুলিতে বাস পড়তেই দম বন্ধ হয়ে আসে বাসে থাকা যাত্রীদের। সেখানে একাধিক শিশু ও মহিলা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় ১০০ জনের কাছাকাছি যাত্রী ছিলেন বাসে।
বিকট শব্দ ও বহু কন্ঠের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। এরপর ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য দেখে কার্যত শিউরে ওঠেন সকলে। একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে কাদায়। সেই বাসের জানলা থেকে বেরিয়ে রয়েছে কোনও মাথা। কেউ আবার পড়ে রয়েছেন বাসের তলায়। কাউকে আবার দেখে মনে হচ্ছে বাসের জানলা ধরে ঝুলছেন। এরই মধ্যে বাসের ভিতর থেকে শুধুই চিৎকার আর ত্রাহি ত্রাহি রব। রাত তখন প্রায় সাড়ে ১০টা।
স্থানীয়রা প্রাথমিক ভাবে উদ্ধারকাজে নামেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরা ওই রাতেই কোমর অবধি জল আর কাদায় ভরা নয়ানজুলিতে নামেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসেই ছিলেন শ্যামল মালো নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচেন তিনি। শ্যামলের কথায়, “বাস যখন এগোচ্ছিল তখনই মনে হয়েছিল চালকের অবস্থা ঠিক নেই। আমরা নন্দনগ্রাম থেকে ইটাহারে যাই বাস ধরতে। মালদহের দিক থেকে বাসটি আসে। আমরা রাজমিস্ত্রির কাজ করি। কাজে যাচ্ছিলাম। এরই মাঝে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা। আমার পায়ে সামান্য আঘাত লেগেছে ঠিকই। তবে চোখের সামনে যে ভাবে এতগুলো প্রাণ গেল তা ভুলতে পারছি না।”
অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শী যুবক প্রণব রায় বলেন, “আমি এখানেই থাকি। চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নয়ানজুলির জলে একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের অর্ধেকটাই জলের নিচে। আমাদের স্থানীয় যারা ছিল সকলেই উদ্ধারকাজে নামে। এরপর দমকলে লোকজনও আসে। কিন্তু জলের নিচে আরও লোক রয়ে গিয়েছে কি না বুঝতে পারছিলাম না।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এখানে বাইপাসের কাজ হচ্ছে এখন। সে কারণে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় গর্ত ভর্তি। কাজের কোনও গতিও নেই। একই সঙ্গে চালক মদ্যপ অবস্থায়ও ছিলেন বলে অভিযোগ উঠছে। ঝাড়খন্ডের পাকুর থেকে বাসটি লখনউ যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: Bali Bridge: টানা বৃষ্টির জের! বালি ব্রিজের কাছে নামল ধস, নজরে না এলে ঘটতে পারত বড় বিপদ