Child Rights Commission: কালিয়াগঞ্জ কাণ্ড ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্যের শিশু কমিশনের বিরোধ স্পষ্ট, বিচারের আশায় পরিবার

Kaliaganj: দফায় দফায় সাংবাদিক বৈঠক করেছেন কেন্দ্র ও রাজ্য- দুই কমিশনের প্রতিনিধিরা। তা ঘিরে রবিবার গভীর রাত অবধি কমিশন বনাম কমিশনের লড়াই দেখল কালিয়াগঞ্জ। দফায় দফায় সাংবাদিক বৈঠকে একে অপরকে দোষারোপ করলেন দুই শিশু কমিশনের কর্তারা।

Child Rights Commission: কালিয়াগঞ্জ কাণ্ড ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্যের শিশু কমিশনের বিরোধ স্পষ্ট, বিচারের আশায় পরিবার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2023 | 10:22 AM

কালিয়াগঞ্জ: নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। সেই উত্তাপ বজায় থাকল রবিবারও। সৌজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের শিশু কমিশন। দুই কমিশনের কর্তারা রবিবার এসেছিলেন কালিয়াগঞ্জে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলেছেন তাঁরা। দফায় দফায় সাংবাদিক বৈঠক করেছেন কেন্দ্র ও রাজ্য- দুই কমিশনের প্রতিনিধিরা। তা ঘিরে রবিবার গভীর রাত অবধি কমিশন বনাম কমিশনের লড়াই দেখল কালিয়াগঞ্জ। দফায় দফায় সাংবাদিক বৈঠকে একে অপরকে দোষারোপ করলেন দুই শিশু কমিশনের কর্তারা।

কেন্দ্রীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের দাবি, আত্মহত্যা নয়। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী ও শিশু পাঁচার চক্র। অপর দিকে রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের কটাক্ষ, কেন্দ্রের কমিশন কি জ্যোতিষী? দুই কমিশনের বিরোধ, রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত আর বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতোরের মধ্যেই অবশ্য কালিয়াগঞ্জের ওই কিশোরীর পরিভার রাত জেগে। মেয়ের মৃত্যুর বিচার পাওয়ার আশায় দিন গুণছেন তাঁরা।

রাজ্যের শিশু কমিশনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায় এবং সুদেষ্ণা রায়। নির্যাতিতার পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করার পর তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “আমরা নির্যাতিতা পরিবারের লোকদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা যে পরিবারের পাশে আছি জানিয়েছি। কোনও অসুবিধা হলে আমাদের ফোন করতে বলেছি।” এর পরই কেন্দ্রের শিশু কমিশনের প্রতিনিধি আসার ব্যাপারে বলেছেন, “কেন্দ্রের কমিশন আসবে আমরা জানতাম। কিন্তু ওরা এক সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নয়। আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। ওরা বার বার বলছে প্রশাসনের কেউ ছিল না। কিন্তু কেন্দ্রী. প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুলিশ ছিল। ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।”

অপর দিকে কেন্দ্রীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি প্রিয়ঙ্ক কানুনগো বলেছেন, “নির্যাতিতার দেহ রাস্তায় ঘষে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি দলের সঙ্গে এখানে এসেছি।” পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারের বয়ান নথিভুক্ত করেনি বলেও অভিযোগ কানুনগোর। পুলিশ তদন্তের আগে কী ভাবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিন্দাজনক। পরিবারের লোকের অভিযোগ গুরুত্ব পায়নি। বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ কারী তত্ত্বের কথাও শোনা গিয়েছে।