রায়গঞ্জ: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রায়গঞ্জের বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ যিনি করলেন সেই চিকিৎসককেই গ্রেফতার করল পুলিশ। আর কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে হাসপাতালের দুই কর্মী রয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে রাকেশ গোপ নামে রায়গঞ্জ মেডিকেলের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে আটক করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। কিন্তু কী কারণে এই গ্রেফতারি? এই বিষয়ে পুলিশের কর্তারা মুখ খুলতে না চাইলেও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শহরের একটি নার্সিংহোমে তদন্তের সময় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দুই তদন্তকারী আধিকারিককে হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলা শাসকের দফতরে স্বাস্থ্য সাথীর দায়িত্বে থাকা দুই কর্মীর মদতে রায়গঞ্জের কোনো নার্সিংহোমে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড, এমনই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন চিকিৎসক রাকেশ গোপ। এই বিষয়ে জেলা শাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও রায়গঞ্জ থানায় একযোগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাকেশ গোপ।
তাঁর অভিযোগ ছিল, তপ্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা করাতে আসা প্রসূতিদের নার্সিংহোমগুলি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে। শুধুমাত্র তাঁর পাঠানো রোগীদের সঙ্গেই কেন এমন হচ্ছে তা তাঁর নিজের কাছেও স্পষ্ট নয় বলে জানান ওই চিকিৎসক।
এদিকে তাঁর এই অভিযোগ দেওয়ার আগে মঙ্গলবার সকালে তদন্তকারী দুই স্বাস্থ্য কর্তাকে তিনি হেনস্থা ও তাঁদের কাজে বাধা দিয়েছেন, এই অভিযোগে তাঁকে আটক করে পুলিশ। যদিও কেন তাঁকে আটক করা হল তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন রাকেশবাবুর সহকারী থেকে গাড়ির চালক।
মঙ্গলবার দুপুরেই রাকেশ গোপ স্বাস্থ্যসাথী সেলের দুই কর্মী রফিকুল ইসলাম ও ধনঞ্জয় লাহার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আর তার পরেই তাঁকে প্রথমে আটক পরে গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসক। বুধবার তাঁকে জেলা আদালতে নিয়ে যাবার সময় চিকিৎসক দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করছে না হাসপাতাল, নেপথ্যে দুই সরকারি কর্মী! অভিযোগ চিকিৎসকের
মঙ্গলবার দুপুরেই রাকেশ গোপ স্বাস্থ্যসাথী সেলের দুই কর্মী রফিকুল ইসলাম ও ধনঞ্জয় লাহার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আর তার পরেই তাঁকে প্রথমে আটক পরে গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসক।