AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করছে না হাসপাতাল, নেপথ্যে দুই সরকারি কর্মী! অভিযোগ চিকিৎসকের

তিনি রফিকুল ইসলাম ও ধনঞ্জয় লাহা নামে স্বাস্থ্যসাথী বিভাগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন জেলা শাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করছে না হাসপাতাল, নেপথ্যে দুই সরকারি কর্মী! অভিযোগ চিকিৎসকের
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Jun 22, 2021 | 5:01 PM
Share

উত্তর দিনাজপুর: খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি হাসপাতাল সহ ছোটবড় বেসরকারি হাসপাতালকেও স্বাস্থ্যসাথী (SwastaSathi) কার্ড গ্রহণ করতে হবে। নাহলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জের বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ যিনি করলেন তিনি নিজেই একজন চিকিৎসক। আর কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে হাসপাতালের দুই কর্মী রয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর।

জানা গিয়েছে, জেলার স্বাস্থ্য সাথীর দায়িত্বে থাকা দুই কর্মীর মদতে রায়গঞ্জের কোনও নার্সিংহোমে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও তা গ্রহন করছে না নার্সিংহোমগুলি। এই বিষয়ে জেলা শাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও রায়গঞ্জ থানায় একযোগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাকেশ গোপ।

আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল ও কেন্দ্রের সঙ্গে কেন এত বিরোধ?’ মমতাকে নিশানা ধনখড়ের

চিকিৎসকের দাবি, তাঁর প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা করাতে আসা প্রসূতিদের নার্সিংহোমগুলি স্বাস্থ্যসাথী গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে তাঁদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। একবার নয়। বারবার একই অভিযোগ করেছেন রোগীর আত্মীয়রা। আর এসব হচ্ছে জেলা প্রশাসনের স্বাস্থ্যসাথী সেলের দুই কর্মীর মদতে, এমনটাই দাবি চিকিৎসকের।

আরও পড়ুন: ‘গিনিপিগের মতো বেঁচে আছি,’ উত্তরবঙ্গ পৃথকে বার্লাকে সমর্থন কামতাপুর পিপলস পার্টির

তিনি রফিকুল ইসলাম ও ধনঞ্জয় লাহা নামে স্বাস্থ্যসাথী বিভাগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন জেলা শাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। গোটা ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে জেলার স্বাস্থ্য মহলে।

এদিকে এই বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্তদের একজন রফিকুল ইসলাম এড়িয়ে গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।