‘রাজ্যপাল ও কেন্দ্রের সঙ্গে কেন এত বিরোধ?’ মমতাকে নিশানা ধনখড়ের

"ন্যায় ব্যবস্থা ও সংবিধান গুরুত্বপূর্ণ। সরকার, আইন ও আদালতের সমন্বয় থাকা উচিত। আমি দিল্লী যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে এসব নিয়ে লিখেছিলাম। সরকার বলছেন কিছুই হয়নি!''

'রাজ্যপাল ও কেন্দ্রের সঙ্গে কেন এত বিরোধ?' মমতাকে নিশানা ধনখড়ের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2021 | 3:42 PM

শিলিগুড়ি: বারংবার বলেও ভোট পরবর্তী হিংসা থামানো বা ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ি ফেরানো অথবা ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়নি। গ্রেফতা করা হয়নি অভিযুক্তদের। কিন্তু সংবিধান, রাজ্যপাল ও কেন্দ্রের বিরোধিতা করছে রাজ্য সরকার। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে রাজ্য সরকারকে এভাবেই নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)।

সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় লাগামছাড়া সন্ত্রাস চলছে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের ওপর আঘাত আসছে। দেশে স্বাধীনতার পর থেকে এমন অশান্তি দেখা যায়নি।’’

তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রশাসনের কর্তব্য। আমি চিন্তিত। আমি উত্তরবঙ্গ, আসাম, নন্দীগ্রামে গিয়ে অসহায়দের সাথে কথাও বলেছি। এসব আমাদের ব্যবস্থায় প্রশ্নচিহ্ন তোলে। দেশ স্বাধীন হওয়ায় পর ভয়ানক ভোট পরবর্তী হিংসা দেখিনি।” রাজ্যপালের অভিযোগ, চার রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত রাজ্যে ভোট হল। শুধু বাংলাতেই সন্ত্রাসের আবহ চলছে।

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হন ধনখড়। বলেন,”অসহায় মানুষ ভয়ে এসব নিয়ে মুখ খুলতেও পারছেন না। মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা কেউ যাননি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে। কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল না। ভয়াবহ সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাজ্য সরকার কীভাবে থাকতে পারে? কেউ গ্রেফতার হলেন না কেন? আশা করব, রাজ্য সরকার আত্মসন্ধান করবে, ভাবনাচিন্তা করবে। সংবিধানের সঙ্গে এবং রাজ্যপাল ও কেন্দ্রের সঙ্গে এত বিরোধ কেন?”

এদিকে এদিনই ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে দায়ের করা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: তলব জেপি নাড্ডার, রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু 

এই প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল বলেন, “ন্যায় ব্যবস্থা ও সংবিধান গুরুত্বপূর্ণ। সরকার, আইন ও আদালতের সমন্বয় থাকা উচিত। আমি দিল্লী যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে এসব নিয়ে লিখেছিলাম। সরকার বলছেন কিছুই হয়নি! এসব বন্ধ হওয়া দরকার। তদন্ত নিয়ে তর্ক করা উচিত না। হোক না তদন্ত। কেউ নিজেকে তদন্তের বাইরে ভাবলে বিপদ হবেই।”

ভোট পরবর্তীতে উত্তরবঙ্গ সফর করেছেন রাজ্যপাল। এদিন তিনি জানালেন ফের উত্তরবঙ্গে আসবেন তিনি। বলেন, “রাজ্যপাল হিসেবে আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলব। রাজনৈতিক হিংসা কমাতে সদর্থক ভূমিকা নেব। মানুষের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে সব পদক্ষেপ করা উচিত।”