শিলিগুড়ি: কালিয়াগঞ্জের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনা, পাশাপাশি পুলিশের ‘গুলি’তে মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের ঘটনার তদন্তে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। তদন্তকারীরা বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে কালিয়াগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। তিন প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কলবীর সিং রতন সরকার ও অরুণ ত্যাগী। এই দল কালিয়াগঞ্জে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রথমে ছাত্রী মৃত্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। সেই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ওঠে। তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপির বিক্ষোভে চড়তে থাকে পারদ। এরই মধ্যেই কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার মধ্যরাতেই কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। কিন্তু বিষ্ণুকে না পেয়ে তাঁর বাবাকে তুলে নিয়ে যেতে চায় পুলিশ। পরিবারের দাবি, তখনই মৃত্যুঞ্জয় সামনে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, এক পুলিশ কর্তাই সেসময়ে তাঁর অধঃস্তন কর্মীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। গুলি এসে লেগেছিল মৃত্যুঞ্জয়ের বুকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃত্যুঞ্জয় আদত শিলিগুড়িতে থাকতেন। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থায় ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। পারিবারিক একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি এসেছিলেন।
ঘটনার পর অকুস্থলে যান জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সংবাদমাধ্যমের সামনেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “পুলিশের নেতৃত্বেই এই খুন।” এবার এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।